রাউজানে ব্যবসায়ীর ৪ লাখ টাকা লুট আটক ১

20

রাউজানে এক ব্যবসায়ির কাছ থেকে নগদ তিন লাখ টাকাসহ ৪ লক্ষ টাকার মূল্যমানের জিনিষ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার চিকদাইরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন বুধবার ভোরে জানে আলম মিনহাজ (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের আজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের বাজারের ব্যবসায়ী ও চিকদাইর মোবারক আলী ফকিরের বাড়ির বাসিন্দা সামশুল আলমের ছেলে জহুরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে বাজারে বিকাশ, নগদসহ নানা কোম্পানীর এজেন্ট ও স্টেশনারীর ব্যবসা করে আসছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তের দল জাহিদী পুকুরের পাড় সংলগ্ন এলাকায় জহুরুলকে ঘিরে ধরে। এসয় তারা জহুরুলকে মরিচের গুঁড়ি ও মুখে আলো ধরে তার কাছ থেকে নগদ ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৫টি মোবাইল সেট, ইজি লোড কার্ডসহ প্রায় ৪ লক্ষ টাকার জিনিষ নিয়ে যায়। এ সময় জহুরুল দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে নিজেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। তবে তিনি এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পশ্চিম ডাবুয়ার আমির হোসেন দফাদার বাড়ির মৃত শামসু মিয়ার ছেলে মো. মনজুকে সনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান। পরে রাউজান থানা পুলিশ ও এলাকার চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. মনজু (৩০), মো. রিজুয়ান (৩৫), রাসেল (২৪) কে ধরতে পারেননি। তবে পুলিশ এলাকার আমির হোসেন দফাদার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জানে আলম মিনহাজ (৩৩) নামে এক যুবককে আটক করে থানা নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুল আলম ও তার মা হাজেরা বেগম, মৃত শামসু মিয়ার ছেলে খোকন, মনজু, জানে আলমসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ইয়াবা ব্যবসাসহ নানান অপরাধে যুক্ত। এ নিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রশাসনসহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চিকদাইর ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী জানান, লুটের শিকার জুহুরুল আমার ইউনিয়নের ব্যবসায়ী। এলাকায় বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী তাকে মরিচের গুঁড়ি মেরে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন জহুরুল।