রাউজানে বাক্সবন্দি তরুণীর লাশটি প্রতিবন্ধী মিনুর

49

প্রতিবন্ধী মেয়ের মৃত মুখ দেখা হলো না হতভাগ্য পিতা-মাতার। অজ্ঞাত হিসেবেই আনজুমানের তত্ববধানে নগরীতে কবর দেওয়া হয় রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরায় উদ্ধার হওয়া মিনু আকতারের (২০) লাশ।
উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মৌওলানা আবদুল কাদেরের বাড়ির জসিম উদ্দিনের কন্যা মিনু আকতার। তার মায়ের নাম বুলু আকতার।
সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী কন্যা মিনু আকতার প্রায় সময় ঘর থেকে বাহির হত। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মায়ের সাথে দুপুরে ভাত খায় সে। খাওয়া শেষে মাকে ঘুমাতে বলে দুপুর ২টার সময় ঘর থেকে বাহির হয় মিনু। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার একদিন পর বাড়ির মোবাইলে অজ্ঞাত কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে নিহত মিনুর সম্পর্কে জানতে চায় কয়েকজন যুবক। পরে মিনুর পিতা জসিম উদ্দিন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আবছারকে জানান এবং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পশ্চিম গুজরার একটি খাল থেকে বাক্সভর্তি অজ্ঞাত এক যুবতীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ দৈনিক পূর্বদেশসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই বিষয়টি স্থানীয়রা মিনুর পিতা জসিম উদ্দিনকে জানান। পরে তিনি থানার মাধ্যমে মর্গে খবর নিয়ে অজ্ঞাত সেই যুবতী তার মেয়ে মিনু বলে জানান। কিন্তু এর আগেই আনজুমানের তত্ববধানে মিনুর লাশটির দাফন কাজ সম্পন্ন করে ফেলা হয়।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জসিম উদ্দিন বলেন, এত দ্রুত লাশটি কেনো দাফন করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। এতে মিনুর খুনিদের কোন হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।
প্রতিবন্ধী মিনু আকতার ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল বলে জানা গেছে।
পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার পূর্বদেশকে বলেন, তদন্ত করে যুবতীর পরিচয় সনাক্তের জন্য দেশের সব থানায় বার্তা ও ছবি পাঠানো হয়েছে। তবে লাশটি বাগোয়ান গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে বলে আমরা স্থানীয় কয়েকজন থেকে জানতে পেরেছি। এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।