উপরে নাইলেন রশি, স্কচটেপ ও বিছানার একটি নতুন চাদর মোড়ানো একটি বাক্স পড়ে আছে সড়কের পাশে সেতুর গোড়ায়। বাক্সটি দেখতে প্রবাসীর চালানের প্যাকেটের মত। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় যে প্যাকেট মুড়িয়ে জিনিসপত্র নিয়ে আসেন এটি হুবহু ওইরকম। গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই এই প্যাকেট নিয়ে স্থানীয়দের মধ্য নানা কৌতুহল জন্ম নেয়। সবার ধারণা ছিল কোন প্রবাসির চালানের প্যাকেট হবে এটি। তবে প্যাকেটটি খুলে দেখার সাহস হয়নি কারও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্যাকেটটি খুলতেই চমকে উঠে উপস্থিত সবাই। চটের বস্তাবন্দি এক তরুণীর বিবস্ত্র লাশ পাওয়া যায় সেখানে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম চৌধুরী সড়কের বদুমুন্সি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় মরদেটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে বলে জানান পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার। ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশটি ফেলে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সড়কের ওপর ওই সেতুর গোড়ায় চাদর মোড়ানো একটি বাক্স দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহাঙ্গীর আলম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ, পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ ও পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার পূর্বদেশকে বলেন, তদন্ত করে যুবতীর পরিচয় সনাক্তের জন্য দেশের সব থানায় বার্তা ও ছবি পাঠানো হয়েছে। পরিচয় জানা গেলে ঘটনার রহস্য বের করা যাবে বলে জানান ওসি।
