রাউজানে কবরস্থান রক্ষায় বিক্ষোভ

85

রাউজানের এয়াছিন নগরে তিনশ বছরের পুরনো কবরস্থান রক্ষায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কয়েকশ’ নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে কবরস্থানটি রক্ষায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব এয়াছিন নগর মাইজপাড়ার প্রায় তিনশ বছরের পুরনো কবরস্থানটি রক্ষায় কয়েকশ নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন। তারা জানান, একই এলাকার হাজী শফি নামের এক ব্যক্তি জোরপূর্বক কবরস্থানে চারা রোপণের চেষ্টা করলে তারা এর প্রতিবাদ করেন। কবরস্থান পক্ষের কমিটির সভাপতি শামসুল আলম, ফজল কাদের বাবুল, মুহাম্মদ রফিক, আব্দুর রাজ্জাক, শামসুল আলম বাঁশি, আয়ুব আলী জানান, রেকর্ডে কবরস্থান থাকা সত্তে¡ও মরহুম নুর আহম্মদের ছেলে হাজী শফি গত রবিবার কয়েকজন শ্রমিক পাঠান কবরস্থানে চারা রোপণের জন্য গর্ত খুড়তে। ঐদিন তাদের কাজে বাধা দেন কবরস্থানের ওয়ারিশ ও পবিত্রতা রক্ষায় নিয়োজিত কমিটির সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পর হাজী শফির ছেলে জাবেদ, হাছান সহ ৫/৬ জন এসে কেন বাধা দেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। এতে উভয় পক্ষের মৃদু বাকবিতন্ডা হয়। এর পরের দিন সোমবার রাতে হাজী শফির পক্ষের ৩০/৪০ জন লোকজন রাত দেড়টার দিকে কবরস্থানের পশ্চিম পাশের গেটটি ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। তবে তারা পাহাড়া দেয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, ২৮০ শতকের বিশাল কবরস্থানটিতে শত-শত নারী পুরুষের কবর রয়েছে। কালের পরিক্রমায় অনেক কবরের চিহ্নও নেই।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর পূর্বে দুই লক্ষ টাকা খরচ করে বিশাল কবরস্থানটিতে দুটি গেট আর তাড়ের বেড়া দিয়ে ঘেরা দেয়ার সময় হাজী শফি কিছুই বলেনি। হাজী শফির দাবি, তার বাপ-দাদারা গরু ছাগল ছড়াতে এ টিলা দিয়েছিলেন। তার ভোগদখলকৃত জায়গার পুরনো বেড়া ঘেরার পিলার ভেঙ্গে কবরস্থানের নাম দিয়ে দখল করে ফেলেছে।
কবরস্থানের পক্ষের লোকজন এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলে জানান ফজল কাদের বাবুল।