রাউজানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে আ.লীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টা

150

রাউজান উপজেলার রাউজান সদর ইউনিয়নে এবার আগুন জ্বালিয়ে সুমন কল্যাণ বড়–য়া নামের এক আওয়ামী লীগ পরিবারকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাত ২টায় উপজেলার রাউজানর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এ আওয়ামী লীগ নেতার বসতঘরে দার্য্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর আগেও এ ইউনিয়নে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বসতঘর দোকানঘরসহ ৮ বসতঘরে দুস্কৃতিকারীদের আগুন লাগার ঘটনার পর সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটে। যার কারনে পুরো ইউনিয়ন জুরে আগুন লাগার আত্ম বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলার রাউজান সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কেউটিয়া বড় পাড়ার বাসিন্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সুমন কল্যান বড়ুয়া ও ফনিভূষন বড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারতে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা দার্য্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা রাত ২টার সময় অবগত হলে তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাউজান ফায়ার সার্বিসের লোকজনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলে পাশ্ববর্তী অন্যান্য ঘর রক্ষা পায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা সুমন কল্যান বড়ুয়া জানান, অগ্নিকবলিত স্থানে পাউডার পাওয়া গেছে। আমরা এ বিষয়ে মামলা করব। তবে তিনি পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে জানান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য প্রভেশ বড়ুয়া জানান, একই এলাকায় একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে, একটি কুচক্রী মহল। এতে মনে হয় এলাকা বিতারিত কোন গোস্টি আমাদের নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করতে ও মুক্তিযোদ্ধাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার অপচেষ্টা ও ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছে। যার কারনে এলাকায় এক আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টি বসতঘরসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দেয় এসব দুর্বৃত্তরা। এতে সর্বশেষ গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয় বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত ৩ নিসেম্বর রাতে রাউজানে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর ও ব্যবাসিয়ক প্রতিষ্টানে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। এই ঘটনায়ও ১০জনের নাম উল্লেখ পূর্বক রাউজান থানায় মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর চৌধুরী। এর আগে ১ ডিসেম্বর রমজান আলী হাট বাজারে এ মুক্তিযোদ্ধার মালিকানাধিন দুই দোকানগৃহে আগুন দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এ সময় আবদুল মোনাফের ডেকোরেটার্সসহ তিন দোকান পুড়ে কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায়। এতে সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর উপজেলার রমজান আলী হাট বাজারের জাহাঙ্গীর আলম, জানে আলম ও মো.আলমগীরে ঘরে দুস্কৃতিকারীরা আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে।