রহস্যময় তেলে দূষিত হচ্ছে ব্রাজিলের সৈকত

37

ব্রাজিলের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সৈকতগুলোতে গত একমাস ধরে অশোধিত তেল ভেসে আসছে। যদিও সেখানে কোনো জাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি, তা সত্তে¡ও এই তেল কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির পর্যটন শিল্প। গতমাসের শুরুর দিকে ব্রাজিলের পরিবেশ সংস্থাগুলো দেশটির শতাধিক সমুদ্রতটে অশোধিত তেল ভেসে আসার বিষয়টি লক্ষ্য করে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটির পরিবেশমন্ত্রী রিকার্ডো সেলেস চলতি সপ্তাহে জানিয়েছেন যে তিন হাজার কিলোমিটার সমুদ্রতট থেকে একশো টনের মতো ভেসে আসা তেল সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো সৈকতে তেল ভেসে আসার ঘটনাকে অপরাধমূলক কর্মকাÐ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এর আগে অবশ্য সাগরে কোনো জাহাজ ডুবে যাওয়ায় বা কোনো অফশোর তেল উত্তোলন প্লাটফর্মে দুর্ঘটনার কারণে এমনটা ঘটছে বলে মনে করা হয়েছিল। বলসোনারো এই ঘটনার পেছনে একটি দেশ জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেও সেটির নাম বলেননি। প্রসঙ্গত ব্রাজিলের অফশোর তেল উত্তোলনের অনেক প্রকল্প রয়েছে। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস জানিয়েছে, পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা গেছে সমুদ্রতটে ভেসে আসা তেল প্রতিষ্ঠানটির নয়। সংশ্লিষ্ট দেশের গণমাধ্যম ধারণা করছে, এই তেলের উৎস সম্ভব ভেনেজুয়েলা।
তবে সেদেশ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সমুদ্রে ভেসে আসা তেল তুলে ফেলতে কাজ করছে পেট্রোবাস। দেশটির পরিবেশবাদী সংস্থা আবামা জানিয়েছে যে বেশকিছু পাখি এবং কচ্ছপ পাওয়া গেছে যেগুলোর শরীরে তেল জড়িয়ে গেছে। তাদের চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে। সমুদ্রতটে ভেসে আসা তেলের উৎস খুঁজতে তদন্ত করছে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ। তবে এর মধ্যেই জাহাজ ডুবি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনার কারণে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যেকোনো তেলের ট্যাঙ্কার সম্ভবত যাত্রাপথে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করেছেন। এই বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত কয়েকটি সমুদ্রতট এবং পর্যটনকেন্দ্র তেলের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে।