রমজান মাসকে সামনে রেখে হামলার আশঙ্কা শ্রীলঙ্কায়

53

শ্রীলঙ্কায় পবিত্র রমজান শুরুর আগে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, রমজান মাস শুরুর আগেই জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে এমন তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ২৫৩ জন নিহত হয়। হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তাওহিদ জামাত বা এনটিজে নামে পরিচিত শ্রীলঙ্কার স্থানীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা জাহরান হাশিম মোহাম্মদকে হামলার মূল হোতা হিসেবে সন্দেহ করছে সে দেশের সরকার। আইএস-এর পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে, বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হাশিমের পরিকল্পনা মাফিক ওই হামলা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, নতুন করে সেখানে আবারও হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী ৬ মে শুরু হচ্ছে মুসলিমদের জন্য পবিত্র রমজান মাস। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর আসবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই মাসটি মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার আগেই জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। সরকারি এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য রয়েছে যে রমজানের আগেই হামলা হতে পারে। সেজন্য সব সংস্থাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
একদিন আগেই কয়েক দফা হামলার আশঙ্কা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার আইনপ্রণেতা ও বিভিন্ন নিরাপত্তা দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন পুলিশের এমএসডি (মন্ত্রিপরিষদের নিরাপত্তা বিভাগ) ইউনিটের প্রধান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাসঙ্গিক তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, সামরিক পোশাক পরে জঙ্গিরা একটি গাড়ি ব্যবহার করে এ হামলা চালাতে পারে।’ ২৮ এপ্রিল কিংবা ২৯ এপ্রিল জঙ্গিরা পূর্ব উপকূলীয় বাট্টিকালোয়া শহরসহ পাঁচটি এলাকায় এমন হামলার পরিকল্পনা করেছে বলেও সতর্ক করা হয়।২১ এপ্রিল ওই বাট্টিকালোয়ার এক গির্জায় হামলার বলি হয়েছিল ২৭ জন। তবে ওই শহর ছাড়া নতুন করে আর কোথায় কোথায় হামলা হতে পারে তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।