রবীন্দ্র-নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর : ড. গাজী সালেহ্ উদ্দিন

69

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহ্ উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন বাঙালি জাতির চেতনার বাতিঘর। তাঁরা দু’জনই বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁদের লেখা কালজয়ী কবিতা, গান, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদেরকে যুগে যুগে অন্যায়, অসত্য, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে সাহস যুগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সবই একসূত্রে গাঁথা। নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের গৌরবগাঁথা তুলে ধরার মানসে ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধনে রবীন্দ্র-নজরুল স্মৃতি পরিষদের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি গত ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে রবীন্দ্র-নজরুল স্মৃতি মেধা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবীন্দ্র-নজরুল স্মৃতি পরিষদ-চট্টগ্রাম এর সভাপতি অধ্যাপক শিপুল কুমার দে এর সভাপতিত্বে এতে মহান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক শ্যামল বৈদ্য সবুজ ও আবৃত্তিশিল্পী লিপি তালুকদারের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি শ্যামল সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র-নজরুল স্মৃতি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সজল বরণ সেন, সমাজসেবক ফারহানা সেলিম জিনিয়া, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, বাগীশিক দক্ষিণ জেলা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সুপ্লব চৌধুরী, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. কথক দাশ। বক্তব্য রাখেন লায়ন ডা. বিধান মিত্র, অধ্যাপক মনোজ দেব, শিক্ষক রূপক শীল, মৃণাল কান্তি দাশ, রূপন মহাজন, অধ্যাপক জয়া দত্ত, বিপ্লব চৌধুরী, শিক্ষক পারভীন আহমদ, পম্পী দাশ, সজল মজুমদার, শিক্ষক সব্যসাচী দেব টিপু, লিটন দাশগুপ্ত, শিমুল দাশ, মিশন দত্ত সপু, জয়রাজ শীল, শিক্ষক বাপ্পা দাশ, শিক্ষক মিল্টন আচার্য, শান্তা মজুমদার, পৌষালী সেন, অভিভাবক সালমা আক্তার, প্রণতোষ মহাজন প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা হতে পাঠ করেন নাফিসা বিনতে সানাউল ও তনুশ্রী ধর।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী সূচনা বণিক ও তাঁর দল। অধ্যাপক সুতপা চৌধুরী মুমুর নেতৃত্বে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতালয় এবং একক সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক জয়া দত্ত, রূপক শীল, শাহীন আক্তার, কান্তা দে, মিশন দত্ত সপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও প্রাইজবন্ড বিতরণ করেন এবং একজন অসচ্ছল ছাত্রের হাতে শিক্ষাবৃত্তির নগদ অর্থ তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি