রবীন্দ্রনাথ নজরুল সুকান্ত বাঙালি চেতনার বাতিঘর

74

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী উপলক্ষে এসো প্রাণের টানে সাহিত্যের মোহনায় মিলিত হই রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত অনুশীলনে শীর্ষক কথামালা, সংবর্ধনা, কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর সুপ্রভাত হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগনেতা আবু সুফিয়ান। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.সুকান্ত ভট্টাচার্য। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ভারত থেকে আগত অতিথি কবি ও সাংবাদিক রাজীব ঘাঁটী, লোকসঙ্গীতশিল্পী নারায়ন কর্মকার, ভারতের আসাম থেকে আগত অতিথি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রোটারিয়ান পরমেশদেব চৌধুরী, রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী নন্দিনী দেব চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক, আনসার ভিডিপি চট্টগ্রামের পরিচালক রোটারিয়ান এ.এস.এম মোঃ আজিম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা কালাম চৌধুরী, সাতকানিয়ার পৌর মেয়র কবি মোঃ জোবায়ের, রুপালী ইন্সুরেন্সের ডিএমডি আবুল কালাম আযাদ, ফুলকলির জেনারেল ম্যানেজার এম.এ.সবুর, ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আবুল বাশার, ছড়াকার আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী, চেয়ারম্যান এম.এ.হাশেম, প্রধান শিক্ষক মিন্টু কুমার দাশ, বিজয় শংকর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. সালাম, লিয়াকত হোসেন, স.ম.জিয়াউর রহমান, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, রতন দাশ গুপ্ত, কবি সজল দাশ, কবি স্বপন বড়ুয়া, নারীনেত্রী নব্যুয়ত আরা সিদ্দিকী রকি, পম্পী রানী দাশ, সৈয়দা শাহানা আরা বেগম, শিল্পী রানী, শাহীন ফেরদৌসী, শবনম ফেরদৌসী, সঙ্গীত পরিবেশন করেন পশ্চিম বঙ্গ থেকে আগত শিল্পী নারায়ন কর্মকার, নন্দিনী দেব চৌধুরী, চট্টগ্রামের লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, নারায়ন দাশ। আবৃত্তি করেন সোমা মুৎসুদ্দী, শবনম ফেরদৌসী। উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব চৌধুরী, হেলাল উদ্দীন চৌধুরী, সেলিম হোসেন চৌধুরী, আবুল হোসেন শুভ, অমর দত্ত, যিশু সেন, সাইফুল আরাফাত বাপ্পা, হানিফ চৌধুরী, কাকলি দাশগুপ্তা, জনি বড়ুয়া, জান্নাতুল মাওয়া কলি, নিলয় দে, মো: জাফর প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি চবি’র প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন-বাংলা সাহিত্যের তিন কালজয়ী পুরুষ রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত। বিশ্বকবির মানুষ হয়ে উঠার প্রার্থনা, নজরুলের দেশপ্রেম, সুকান্তের শ্রেণি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আমাদের আলোকিত করে, আলোড়িত করে প্রতিনিয়ত। এই তিন কবির সৃষ্টিতে আমরা লক্ষ্য করি মানবিকতার সার্বজনীনতার বাণী আর সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরুদ্ধ অবস্থান। সভার উদ্বোধক সাংবাদিক আবু সুফিয়ান বলেন-বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ মানুষের জীবনই হয়ে উঠেছে এই তিন বরেণ্য কবির সাহিত্য কর্মের প্রধান উপজীব্য। রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ প্রেম আর নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাদের সাহিত্য বা সৃষ্টির আবেদনগুলো যুগে যুগে আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে এবং উঠবে। সভার প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন-রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত বাংলা সাহিত্যের একে অপরের পরিপূরক। যাদের সৃষ্টি কর্ম সব সময় প্রাসঙ্গিক এবং অনুপ্রেরণা যোগ্য। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের বটবৃক্ষ হিসেবে আমাদের আজও প্রেরণার পথ দেখায়। অনুরূপ নজরুলের সাহিত্যকর্ম সাম্য এবং অসম্প্রদায়িক চেতনার আলো হিসেবে চির ভাস্বরিত। আর কবি সুকান্তের কবিতা তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় সকল ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝে সাহসের অমীয়ধারা সৃষ্টি করে। সভার শুরুতে প্রয়াত সাংসদ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, সাংবাদিক জামাল উদ্দিন সহ সম্প্রতিক কালে মরহুম সকল গুণীজনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে ভারত থেকে আগত ৪ জন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সংগীত শিল্পীদ্বয়কে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী স্মৃতি স্মারক সম্মাননা ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি