‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভার নাম’

92

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রবির কিরণে শুচি হোক ধরা। আজি জন্মদিনে আনন্দলোকে হই আত্মহারা, শীর্ষক আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, সঙ্গীতানুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে গত ৭ মে বিকেল ৪টায় নগরীর কদম মোবারক এম. ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। বিশেষ আলোচক ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর লায়ন সোহেল আহমদ মৃধা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এমএ সালাম শিক্ষক অজিত কুমার শীল, মো. লিপটন, অমর কান্তি দত্ত, পম্পী দাশ, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এম নুরুল হুদা চৌধুরী, স.ম জিয়াউর রহমান, কবি সজল দাশ, কবি আরিফ চৌধুরী, সংগঠক সৈয়দা শাহানা আরা বেগম, রতন দাশ গুপ্ত, সংগীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, নারায়ণ দাশ, সেলিম উদ্দীন আবদুর রাজ্জাক, জে এস আনন্দবোধি ভিক্ষু, রতন ঘোষ, মো. জাফর, মো. ইয়াসিন, সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, নারায়ণ দাশ ও পম্পী দাশ। রবীন্দ্র প্রতিভা বঙ্গে এক পরম বিস্ময়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাপুরুষ ছিলেন না, কিন্তু তাঁর উপলব্ধিতে মহাপুরুষদের উপলব্ধিরই অনুসরণ লক্ষিত। কবিগুরুর মতো লোকোত্তর প্রতিভা রঙ রসের টোপ ফেলে আমাদের চঞ্চল ও বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত ও সংহত করায় সিদ্ধকাম তাই রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে শরৎচন্দ্র লিখেছিলেন, কবিগুর তোমার প্রতি চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের সীমা নাই। প্রধান বক্তা অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী বলেন, মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী কবি প্রথম জীবন থেকেই স্বদেশ ও সমাজের ভাবনাতে ব্যাকুল ছিলেন। তিনি যখন পদ্মাতীরবর্তী অঞ্চলের জমিদারির কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন তখন সেখানকার প্রজাদের সঙ্গে সকল সুখ দুঃখ ভাগ করে নিতেন তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে।
পল্লীর উন্নয়নে তিনি ছিলেন ব্যাকুল। তিনি স্বপ্ন দেখতেন পল্লী উন্নয়নের তাই প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীনিকেতন। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালী কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক দার্শনিক সংগীত স্রষ্টাসহ বহুমুখী প্রতিভার অনন্য নিদর্শন। একদিন সূর্যোদয়ের মুহুর্তে আকস্মিকভাবেই তার মধ্যে জেগে ওঠে এক দিব্য প্রেরণা। যার ফলে জগৎ প্রকৃতি ও মানুষ সবকিছু তার চোখে এক বিশ্বব্যাপী আনন্দধারা বলে মনে হয়। হঠাৎ করেই আত্মকেন্দ্রিক জগৎ থেকে মুক্তি পেয়ে কবি এসে দাঁড়ান মানুষের জগতে। এখান থেকেই রবীন্দ্র প্রতিভার সত্যিকার স্ফুরণ ঘটে। বিজ্ঞপ্তি