রবির আইপিও: বরাদ্দের ১০ গুণ আবেদন

26

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য যত টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তার ১০ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
পুঁজিবাজার থেকে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার তোলার জন্য ১৭ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত রবির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য আবেদন জমা নেওয়া হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার শেয়ারের বিপরীতে আবেদনের সঙ্গে যত অর্থ জমা পড়েছে, তার পরিমাণ ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা বরাদ্দের ১০ গুণেরও বেশি।
রবি আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ে। এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।
বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।
আইপিওর ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪ টাকা দিয়ে নেটওয়ার্ক পরিধির বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবির। আর আট কোটি দুই লাখ নয় হাজার ৭৬৬ টাকা আইপিও বাবদ খরচ হবে।
২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গতবছর তারা মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৬৪ পয়সা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ৪ পয়সা। খবর বিডিনিউজের
২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবির মোট সম্পদ ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। রিটার্ন অন অ্যাসেট দশমিক ১০ শতাংশ। এর অর্থ ১০০ টাকার সম্পদ ব্যবহার করে ১০ পয়সা মুনাফা হয়েছে।