যে কারণে সাকিবকে হটিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা উইলিয়ামসন

26

বিশ্বকাপের এক আসরে কোনও অলরাউন্ডারের নেই ৪০০ রানের পাশে ১০ উইকেট। সেখানে সাকিব ৮ ইনিংসে ৬০৬ রানের পাশে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে সবকটিতেই ভূমিকা সাকিবের। তবুও তার হাতে পুরস্কার জোটেনি। এই নিয়ে হতাশ সাকিব ভক্তরা। উইলিয়ামসন-রোহিতের থেকেও সাকিবকে এগিয়ে রেখেছিলেন তার ভক্তরা।
কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো হলেও সাকিবের পারফরম্যান্সে মাত্র তিনটি ম্যাচ জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। রোহিতও ঠিক একই কারণে উইলিয়ামসনের কাছে হেরেছেন। বেশ কিছু সেঞ্চুরি থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে নিষ্প্রভ দেখা গেছে এই ওপেনারকে।
অথচ ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই সেরা ক্রিকেটের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবেও এই বিশ্বকাপে সফল কেন উইলিয়ামসন। বিশেষ করে তার অধিনায়কত্ব ছিল চমৎকার। বোলারদের ঠিকমতো ব্যবহার করে বেশকিছু ম্যাচে জয় তুলে এনেছেন। তাইতো ১০ ম্যাচে ৫৭৮ রান করেও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে উইলিয়ামসনের হাতে। রবিবার লর্ডসের ফাইনালে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান করার কৃতিত্বও দেখিয়েছে তিনি। ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ২০০৩ সালে পেয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। লর্ডসে তার হাত থেকেই পুরস্কার গ্রহণ করেন উইলিয়ামসন। ১৯৯২ সাল থেকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার দিয়ে আসছে আইসিসি। প্রথম আসরে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো পেয়েছিলেন সেই পুরস্কার। ২৭ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কোনও খেলোয়াড় পেলেন এত বড় পুরস্কার। এছাড়া ১৯৯৬ সালে লঙ্কান অধিনায়ক সনাৎ জয়সুরিয়া, ১৯৯৯ সালে প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার, ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা, ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের যুবরাজ সিং এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক এই পুরস্কার জেতেন।