যে কারণে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পেছাল বিএনপি

48

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নিয়ে নতুন করে কোনও বির্তক সৃষ্টি করতে চায় না বিএনপি। তাই এবার জাতীয় শোক দিবসের দিন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন পালন করেনি দলটি। বিতর্ক এড়াতে ১৫ আগস্টের জন্মদিনের কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে ১৬ আগস্ট (আজ) পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এমনকি দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ১৫ আগস্ট জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটতে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার জন্মদিন নিয়ে বিতর্ক আছে। খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে বসবাস করতেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়েও তার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ আছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
দলটির নেতারা বলছেন, ১৫ আগস্ট নিয়ে নমনীয় হচ্ছে বিএনপি। এই কারণে বুধবার লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা আসে খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৫ আগস্ট কর্মসূচি পালন না করে ১৬ আগস্ট (আজ) করতে। সেই নির্দেশনাটি দলের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী জানান, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৬ আগস্ট (আজ) সারাদেশে তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জন্মদিনের একদিন পরে কেন কর্মসূচি দেওয়া হলো- জানতে চাইলে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলে। এর প্রতিবাদে আমরা তার জন্মদিনের কর্মসূচি একদিন পরে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জন্মদিনে কেক কাটা হবে না। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ মাহফিল ও জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করার সিদ্ধান্ত হয়। আর ১৫ আগস্ট তো শোক দিবস।’