যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আরও এক আসামি নিহত

26

টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোহাম্মদ হাসান (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। হাসান টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ই-বøকের হামিদ উল্লাহর ছেলে ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় তৈরি এলজি, পাঁচটি তাজা কার্তুজ ও ৮টি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার দুই আসামি রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শাহ ও মো. শুক্কুর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গত ২২ আগস্ট টেকনাফের হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিসহ একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসানের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হন। তারা হলেন, এসআই সাব্বির আহমদ (৩০), কনস্টেবল লিটন (২১) ও বাহার (২৮)। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে ফিল্ম স্টাইলে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে (৩০) তুলে নিয়ে পাহাড়ে গুলি করে হত্যা করে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। খবর পেয়ে নিহত ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার মরদেহ আনতেও বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার করে।