যুক্তরাষ্ট্রের দুতিয়ালি করতে ইরান সফরে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

30

উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে তেহরান সফর করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সম্পর্কে অবগত এক কর্মকর্তা সূত্রে আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সফরের লক্ষ্য ছিল ওয়াশিংটন-তেহরান চলমান উত্তেজনা নিরসন। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি যুক্তরাষ্ট্রের কোনও বার্তা নিয়ে তেহরানে গিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি ওই কর্মকর্তা। তবে তার দাবি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে ওই সফরের কথা জানতো। আলোচনার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানালেও ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, অল্প কয়েকদিন আগে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৫ সালে ইরানের সাথে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এরপরই ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরীসহ যুদ্ধসরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে। উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ কাতার। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ইরানের ওপর চাপ বৃদ্ধির কৌশলের অংশ হিসেবে কাতারের ঘাঁটিতে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের খবরও সামনে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এমন বাস্তবতায় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফরের খবর সামনে এলো।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফর সম্পর্কে অবগত ওই কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সংকট নিরসনের নতুন পথ খোঁজা এবং উত্তেজক পরিস্থিতি নিরসন। ওই কর্মকর্তা তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরির সাথে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের খবর নিশ্চিত করলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেননি।