যা করণীয় আমরা করবো : ড. কামাল

36

গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘৩০ তারিখে (৩০ ডিসেম্বর) যে নির্বাচন হয়েছে, সেটিকে অনেকে প্রহসন বলেছেন, নাটক বলেছেন। ১৬ কোটি মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ১৬ কোটি মানুষ এটা মেনে নেবে না। আমাদের যা করণীয় আছে আমরা করবো।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণফোরামের আয়োজনে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র প্রয়াত রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় তিনি এসব বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তিনি বলেন, গণতন্ত্র আমাদের সংবিধানের মূলনীতি। সে আন্দোলন আমরা করে আসছি। ৩০ তারিখ যে নির্বাচন হয়েছে, সেটিকে অনেকে প্রহসন বলেছেন, নাটক বলেছেন। মানুষের প্রতি ভাওতাবাজি করা হয়েছে। কেন এগুলো করা হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আবার পরদিন সকালে বলেন, আমি তো পাঁচ বছরের জন্য এসে গেছি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা মনে করি ১৬ কোটি মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের এভাবে বলা, এটি সংবিধান লঙ্ঘন। আমি বিশ্বাস করি ১৬ কোটি মানুষ এটা মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে আমাদের যা করণীয় আছে আমরা করবো।’
শোকসভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে না নিলে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি থাকতে পারে না। কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। তাদের মধ্যে ৫ লাখ তরুণ-তরুণী, তাদের কোনও ইচ্ছা আকাক্সক্ষা নেই, লেখাপড়া নেই। সুতরাং এটাই জঙ্গিবাদ উত্থানের একটা জায়গা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে পূর্বে যান, ভারত যদি না চায় তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। আজকে ভারতপ্রীতি করে লাভ নাই, ভারত আমাদের কাছে শুধু নেবে। আপনিই তো বলেছেন ‘ভারতকে আর কত দেবো?’ কিন্তু আপনি তো দিয়েই যাচ্ছেন, এখন পাঠাচ্ছেন ১৮০০ সৈন্য।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, কেউ প্রতিবাদ করল না। এটা কি শুধু কোনও রাজনৈতিক নেতা করবে, কোন রাজনৈতিক দল করবে? এটা হয় না। তিনি আরও বলেন, ১ লাখ লোক কারাগারে আছে। এদেরকে মুক্ত করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।
সদ্য কারামুক্ত ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম বলেন, আমলাতান্ত্রিক সহযোগিতায় ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আসলে এরা নিজেরা নিজেদের বঞ্চিত করেছে। স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য এটা লজ্জার।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, রাজনীতি এখন ব্যবসায় হয়ে গেছে। এটা রাজনীতি নয়। এটা কোত্থেকে আসছে?
শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান প্রমুখ।