যাত্রীদের ভিড় থাকলেও ৬৮০ টিকেট অবিক্রিত

62

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির তৃতীয় দিনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এরপরেও সোনার বাংলা, তূর্ণা নিশিথা ও চাঁদপুরগামী দুইটি স্পেশাল ট্রেনের ৬৮০ টিকেট অবিক্রিত থেকে যায়। তবে দুপুর ২টার মধ্যে এ চারটি ছাড়া বাকি সব ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যায়। ভোর থেকেই যাত্রীরা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। কালোবাজারি রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে টিকিট বিক্রি চলে।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘তৃতীয় দিনে সাত হাজার ৮৬৬ টিকেট ছাড়া হয়। এর মধ্যে কাউন্টারে চার হাজার ৪৩৬ টিকিট ছাড়া হয়। বাকিগুলো অনলাইন অ্যাপসে দেয়া হয়েছে। কাউন্টারে রাখা টিকিটগুলোর মধ্যে সোনার বাংলার ১৫০টি, তূর্ণার ১০০টি, চাঁদপুরের দুইটি স্পেশালের একটিতে ২০০টি, আরেকটিতে ২৩০টি টিকিট অবিক্রিত থেকে যায়। এগুলো যাত্রীদের চাহিদামাফিক দেয়া হবে।’
গতকাল সরেজমিনে রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি কাউন্টারে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের তুলনায় গতকাল প্রতিটি কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন যাত্রীরা। ১নং কাউন্টারে মহিলা, ওয়ারেন্ট, রেলওয়ের পাস, ২নং কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ৩নং কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের, ৪নং কাউন্টারে তুর্ণা, মেঘনা এক্সপ্রেস ও চাঁদপুর স্পেশাল, ৫নং কাউন্টারে মহানগর গোধুলী, মহানগর এক্সপ্রেস, ৬নং কাউন্টারে বিজয় এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস এবং ৭নং কাউন্টারে চলতি টিকিট বিক্রি করা হয়। কাউন্টারের নিরাপত্তায় ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়।
ইপিজেডে কর্মরত পোশাক শ্রমিক শের আলী বলেন, ‘পরিবারের চারজন সদস্যকে নিয়ে ঈদে বাড়ি যাব। ঢাকার টিকিট পেতে ভোর ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ১০টায় পেয়েছি। ভোরে এসে দেখি আমার আগে অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে। তবুও টিকেট পেয়ে ভালো লাগছে।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ ১০ আগস্টের ও আগামীকাল ১১ আগস্টের টিকেট বিক্রি করা হবে। একইভাবে ৫ আগস্ট থেকে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে। সেদিন ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। ৬ আগস্ট ১৫ আগস্টের, ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের এবং ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের ফিরতি টিকেট বিক্রি করা হবে।