ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিতর্ক ও মালদ্বীপের ক্লান্তির অজুহাত

20

পুরো খেলায় অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ম্যাচে তাকে খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়। ম্যাচ শেষে সেটি স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশ দলেরও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তিনি জানান, গত এক মাসে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। সেই সাথে ছিল ভ্রমণ ক্লান্তি। নিজের শতভাগের কাছাকাছিও দিতে না পারা সেই জামাল ভূঁইয়াকে ম্যাচ সেরা ঘোষণা করে আয়োজকরা বেশ হাসির খোরাক যোগান এবং প্রশ্নের জন্ম দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। প্রেস বক্সে বসা ঢাকা-চট্টগ্রামের কোন সাংবাদিকই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
কী করে জামাল ভূঁইয়া ম্যাচ সেরা হলেন সেটি জানতে যোগাযোগ করা হয় ম্যান অব দ্য ম্যাচ এডজুটিকেটর কমিটির আহবায়ক সিজেকেএস সহসভাপতি হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, ‘আমাদের কমিটিতে আমি ছাড়া আজ পাঁচজন (অমলেন্দু বড়ুয়া, বিজয় সেন গুপ্ত, ডেরিক রেন্ডলফ, আ ন ম কুদ্দুস চৌধুরী ও এস এম শহীদুল ইসলাম) ঐক্যমতে পৌঁছে সবার স্বাক্ষরে লিখিতভাবে জানিয়ে দিই ম্যাচসেরা ১৯ নম্বর জার্সি পরিহিত চিন্দুমা ম্যাথিউ। কিন্তু ঘোষণা মঞ্চে কি করে এবং কীভাবে জামাল ভূঁইয়াকে ম্যাচ সেরা করা হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
এদিকে ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস এর কোচ নিজেদের ভ্রমণ ক্লান্তির অজুহাত দেন। লম্বা জার্নি করে আসা, মাত্র আগেরদিন চট্টগ্রাম এসে পৌঁছে সময়মতো বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পায়নি বলে জানান। দলের অধিনায়ক জানান, হোটেলে চেক ইন করার জন্য তাদেরকে তিন ঘণ্টার মতো অপেক্ষায় থাকতে হয়, যা নিয়ে দলের সবাই ক্ষুব্ধ বলেও জানান তিনি। তাছাড়া এটি তাদের মৌসুমের প্রথম ম্যাচ বলেও জানান।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক জানান, এটি তাদের প্রথম ম্যাচ। পরের ম্যাচ আরও ভালো খেলার আশা করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়েরাও অনেক বেশি টায়ার্ড ছিলেন। আবাহনীর টার্গেট ছিল টিসি স্পোর্টস এর ধীর শুরুকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত আক্রমণ রচনা করা। দ্রুতই কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়া। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ ম্যাচে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন।