‘ম্যাচ জিততে আমাদের আরও হিসেবী হতে হবে’

26

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। একের পর এক উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১৬৫ রানের টার্গেটে নেমে হিসেব ছাড়া ব্যাটিংয়ের মাশুল দিতে হয়েছে ২৫ রানের হারে। জয়ে ফিরতে আরও হিসেবী হতে হবে মনে করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল ছন্নছাড়া। তবে মোসাদ্দেকের সঙ্গে আফিফ হোসেনের ৮২ রানের দুর্দান্ত জুটিতে রক্ষা হয় তাদের। ৩ উইকেটে জিতে সিরিজ শুরু করলেও আফগানদের কাছে হার আবার ভাবিয়ে তুলেছে স্বাগতিকদের। ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসহীনতার ব্যাখ্যা দিলেন মোসাদ্দেক, ‘রানে না থাকলে যে কোনও ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়বে, সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা ম্যাচটা হেরেছি ২৫ রানে। আমরা যদি আরেকটু হিসেবী খেলতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’ শেষ দুই টি-টোয়েন্টির দলে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান, ইয়াসিন আরাফাত ও আবু হায়দার বাদ পড়েছেন, দলে ফিরেছেন শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শফিউল-রুবেল ছাড়া যে তিনজন এসেছেন, তারা পরীক্ষিত কেউ নন। হঠাৎ করে এমন অদল-বদল দলে প্রভাব ফেলা অস্বাভাবিক নয়। অবশ্য নতুনদের নিয়ে আশাবাদী মোসাদ্দেক, ‘সবাই কিন্তু পারফর্ম করেই দলে এসেছে। আমাদের দলে একজন লেগ স্পিনারও দরকার ছিল। বিপ্লব (আমিনুল ইসলাম) এই কারণেই দলে। তার কাছে ভালো কিছু আশা করছি। আর নাঈম তো হাই পারফরম্যান্স টিমে ছিল, ওপেনিংয়ে যথেষ্ট প্রতিভাবান। আশা করি সেও সুযোগ পেলে ভালো করবে।’ ভালো মানের স্পিনারদের বিপক্ষে, বিশেষ করে রিস্ট স্পিনারদের মোকাবিলায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের স্কিলের ঘাটতি আছে মনে করেন সাকিব। মোসাদ্দেকও অধিনায়কের সঙ্গে সুর মেলালেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে স্কিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে চাইলেই সবসময় ছয়-চার মারা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় আমরা মোটামুটি ঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি, কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য ছোট ছোট ফাঁক তৈরি হচ্ছে, অল্প ব্যবধানে আমরা ম্যাচ হেরে যাচ্ছি। আমি মনে করি এগুলো যত কম করে সফল হওয়া যায় ততই ভালো।’