মৌসুমী সর্দি-জ্বরের সমাধান রসুন

156

ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা, ক্যালসিয়াল এবং আয়রনে সমৃদ্ধ রসুনের আছে নানাবিধ স্বাস্থ্যগুণ। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সাধারণ ঠান্ডা-কাশির সমস্যা সমাধানে রসুনের ব্যবহার সম্পর্কে এখানে জানানো হল।
# ‘অ্যালিয়াম’ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত রসুন। ফলে পেঁয়াজের সঙ্গে এর মিল রয়েছে অনেকাংশে। রসুনের কোঁয়া কাটলে কিংবা পিষলে এতে থাকা সালফারের কারণে কড়া গন্ধ বের হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে পুষ্টি যেমন বেশি ক্যালরিও তেমন কম।
# রসুনে এমন কিছু উপাদান থাকে যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। যেসব ভাইরাস সাধারণ সর্দি-জ্বরের জন্য দায়ী, শরীর সেসবে আক্রান্ত হলে রসুনে থাকা সালফার শ্বেতরক্ত কণিকার রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর এভাবেই মৌসুমী রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
# রসুন যে শুধু সর্দি-জ্বর দূরে রাখে তাই নয়, এদের তীব্রতাও কমায়- গবেষণা তাই বলে। তাই যারা ঘন ঘন সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন তাদের নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
# রসুন থেকে কতোটা স্বাস্থ্যগুণ পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে খাওয়ার পদ্ধতির ওপর। ‘অ্যালিনেজ’ নামক এনজাইম রসুনে থাকা ‘অ্যালিন’ কে অ্যালিসিনে পরিণত করে। যা কেবল নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতেই সম্ভব হয়। রসুনকে অতিরিক্ত তাপ দিলে ‘অ্যালিনেজ’ য়ের প্রভাব কমে যায়। রান্নার সময় সবসময় একাধিক রসুনের কোয়া ব্যবহার করা উচিত।
# রসুন গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে খাদ্যাভ্যাসে যোগ করা যেতে পারে রসুনের পাউডার, পুরনো রসুনের নির্যাস এবং রসনের তেল।
# কাঁচা-রসুন প্রতিদিন দুতিনবার প্রতিবার একটি করে কোয়া খাওয়া আদর্শ। আর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬০০ থেকে ১২০০ গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
অন্যান্য উপকার: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য রসুন হতে পারে আশির্বাদ। কারণ রক্তচাপ কমাতে অত্যন্ত উপকারী এটি। কোলেস্টেরল কমাতেও কার্যকরী রসুন, যা পক্ষান্তরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: অতিরিক্ত খেলে রসুন গ্রহণ করলে পাকস্থলির বাহ্যিক আস্তরে অস্বস্তি, গ্যাসজনীত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যেতে পারে, ত্বকে দেখা দিতে পারে র‌্যাশ।
সাবধানতা: হাঁপানি রোগী ও গর্ভবতী নারীদের রসুন থেকে দূরে থাকা উচিত। অস্ত্রোপচারের আগেও রসুন খাওয়া ঠিক নয়। আর অতিরিক্ত যে কোনো খাবারই ক্ষতিকর।