মোটরসাইকেলকে সাইড না দেওয়ায় গাড়ি ভাংচুর

44

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার রায়জোয়ারা এলাকায় ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের প্রাইভেটকারের পেছন দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে সাইড না দেয়ায় বিকেলে আসার পথে রায়জোয়ারা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে টেরিবাজারের রাজস্থানের মালিক ব্যবসায়ী আবদুর রহিম নিজের প্রাইভেটকারে করে বাড়ি যাওয়ার পথে রায়জোয়ারা এলাকায় গাড়ির পেছন থেকে আসা মোটর বাইককে সাইড না দেয়ায় কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকেলে বাড়ি থেকে পুনরায় আবদুর রহিম নগরীর বাসায় ফেরার পথে দোহাজারী নাসির প্লাজার সামনে দুর্বৃত্তরা গাড়ির গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এব্যাপারে আবদুর রহিম বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেছেন, এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

চন্দনাইশে গৃহবধূর
আত্মহত্যা
চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার বরকল হিন্দুপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পিংকি সুত্রধর (২০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে বরকলের প্রবাসী সিপন সুত্রধরের স্ত্রী পিংকি সুত্রধর ঘরের বিমের সাথে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিংকির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

চন্দনাইশে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকায় সেতুর টেন্ডার
চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের আওতায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সিডিউল বিক্রির জন্য ১ দিন সময় নির্ধারণ করায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সিডিউল বিক্রি হয়েছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ- পর্যাপ্ত সময় পেলে ২০ লাখ টাকার অধিক সিডিউল বিক্রি হতো।
জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় চলতি অর্থ বছরে চন্দনাইশে গ্রামীণ সড়কে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে চন্দনাইশে ১৩টি সেতু নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৩টি প্রকল্পের মধ্যে অজানা কারণে জোয়ারা ইউনিয়নে ৫টি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জোয়ারা ইউনিয়নে কুলালপাড়া হারগি খালের উপর ১৮ লক্ষ ২৭ হাজার টাকায় ব্রিজ, উত্তর জোয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ২২ লক্ষ ৮১ হাজার টাকায় ব্রিজ, কুলালপাড়া খারজি খালে ১৮ লক্ষ ২৭ হাজার টাকায় ব্রিজ, নগরপাড়ার মাইজপাড়া বাইগ্যাছড়ি খালের উপর ১৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকায় ব্রিজ, হিন্দুপাড়ার বৈদ্য বাড়ির সামনে ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় ব্রিজ, ফতেহ আলী চৌধুরী সড়কের মুন্না ছড়ার উপর ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় ব্রিজ, চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ হারলা নিদারামপুর সড়কে ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকায় ব্রিজ, দক্ষিণ হারলা সওদাগর সড়কে ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকায় সংযোগ সেতু, নিদারামপুর বরুমতি খালের উপর ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় বিজ্র, কাঞ্চনাবাদে খান্ডার বিল সড়কে ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় ব্রিজ, বরমার এসপি দেলোয়ার হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকায় ব্রিজ, হাশিমপুর মোজাহেরপাড়া এবাদত খানা সড়কে ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় ব্রিজ, ধোপাছড়ি মরাছড়ার উপর ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ।
গত ১৯ জুন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নোটিশের মাধ্যমে ১ দিনের সময় দিয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়। গত ২০ জুন এ সকল প্রকল্পের অধিনে ২ হাজার ৫০০ এর অধিক সিডিউল বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারিভাবে জুন ক্লোজিং এর মধ্যে স্বল্প সময়ে সারা বাংলাদেশে এ টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। ফলে ২০ জুনের অধিক সময় দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রতিটি প্রকল্পে ৪৫ থেকে ৫০টির অধিক সিডিউল বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি সিডিউল ১ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সিডিউল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, প্রকল্প বান্তবায়নের জন্য গত ১৬ জুন মন্ত্রণালয় অর্থ দিয়েছে। সংবাদ পেয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করে সিডিউল তৈরি করে বিক্রি করতে হয়েছে। ফলে ২০ জুনের মধ্যে সিডিউল বিক্রি করার কথা থাকায় ঠিকাদাররা সময় কম পেয়েছেন। ২৩ জুন বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সিডিউল ফরম জমা করে বিকেল ৪ টার পর টেন্ডার বক্স ঠিকাদারদের সম্মুখে খোলা হবে। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রকাশ্যে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।