মোজাম্বিকে ফের ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকিতে ৭ লাখ মানুষ

35

ঘূর্ণিঝড় যেনো পিছ্ ুছাড়ছে না আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোর। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেও ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের আঘাতে মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে আর মালাওয়িতে প্রাণহানি হয়েছিল অন্তত এক হাজার মানুষের। সেই মোজাম্বিকে আবারও আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘কেনেথ’। এই ঘূর্ণিঝড়ে আবারও নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে দেশটি। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশটির ছয় লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ।এছাড়া বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপরাষ্ট্র কোমোরোসে তিনজনের প্রাণহানি হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। মোজাম্বিকের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (আইএনজিসি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে আঘাত হানা এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে মোজাম্বিক সরকার। প্রয়োজনে আরও মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
আইএনজিসি আরও জানায়, তারা ১৫ দিনের জন্য অন্তত এক লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সহায়তা দিতে প্রস্তত। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক খাদ্য কর্মসূচি সংস্থা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ভারী বর্ষণ এবং এর থেকে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। ২৪ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ঘূর্ণিঝড়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশটির ছয় লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটিতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে স্কুলগুলোও। এখনও ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি মোজাম্বিক। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির বন্দরনগরী বেইরা।
ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের পর দেশটিতে ব্যাপক আকারে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার ৮০০। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ম্যালেরিয়াও। মোজাম্বিকের ইতিহাসে এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার ঘটনা এই প্রথম।