‘মেশিনত হাত রাহনর লয় আঁর ছবি দেহা গেইয়ে’

54

ননীবালা রায় ভোট দিতে এসেছেন আকুবদন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৯০ বছর বয়সী এ নারী নাতবৌকে নিয়ে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে।
ইভিএম-এ ভোট দিয়ে কেমন লেগেছে জানতে চাইলে ননীবালা জানান, ‘আঁর বয়সত এইল্যা ভোট ন দেহি। হদিন আর বাঁইচ্যুম। উগ্গা মেশিনত হাত রাহনর লয় আঁর ছবি দেহা গেইয়ে। কি হান্ড! জীবনর পথম এইল্যা হারবার দেইলাম। সুইচ টিবনর লই আঁর ভোট অইগেয়্যি’ (আমার বয়সে এরকম ভোট দেখিনি। কয়দিন বাঁচবো। একটা মেশিনে হাত রাখার সঙ্গে সঙ্গেই আমার ছবি দেখা গেছে। কি কান্ড! জীবনে প্রথম এরকম ভোট দেখলাম। সুইচে টিপ দেওয়ার পরই আমার ভোট হয়ে গেছে)।
শুধু ননীবালা নন, ৮০ বছর বয়সী রিজিয়া বেগম কিংবা সালাম খাতুনের মতো এমন অনেকে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রের পরিবেশ এবং ইভিএমে ভোট দেয়ার অনুভ‚তি জানতে চাইলে ভোটাররা জানান, কোন রকম ঝামেলা হয়নি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে। এমনকি ইভিএম এ ভোট দিতেও সমস্যায় পড়তে হয়নি। মাত্র এক মিনিটেই ভোট দেওয়া যাচ্ছে।
ভোট কেন্দ্রে আসতে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, কোন রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। কেন্দ্রে আসার পর অনেকে ভোটার নম্বর খুঁজে দেওয়া সহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। খবর বাংলানিউজের
বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আকুবদন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সারোয়াতলী ইব্রাহিম নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়’সহ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ঘুরে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।