­মেডট্রনিকের সহযোগিতায় ভেন্টিলেটর উৎপাদন করবে বাংলাদেশ

23

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার আয়ারল্যান্ডভিত্তিক মেডিকেল প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের (Medtronic) কারিগরী সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ভেন্টিলেটর মেশিন উৎপাদন করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় নিজ বাসভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। পলক বলেন, মেডট্রোনিক পিবি ৫৬০ ভেন্টিলেটর তৈরির জন্য প্যাটার্ন, সোর্স কোড, ডিজাইন, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার সবই দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে বাংলাদেশের কি কি প্রযুক্তি প্রয়োজন তা নিয়ে ইতোমধ্যেই আদান-প্রদান হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় উদ্ভাবক ও উৎপাদনকারীদের ভেন্টিলেটর তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে পলক জানান, এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সম্মতি দিয়েছে। তবে কবে, কখন নাগাদ ভেন্টিলেটর উৎপাদন শুরু হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে প্রাথমিক পর্যায়ে যারা সম্মিলিতভাবে কাজ করবে তাদের মধ্যে ওয়ালটন, মাই ওয়ান, মিনিস্টার, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), স্টার্টআপ বাংলাদেশ, মেড ইন বাংলাদেশ, ইনোভেটিভ ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রিমিয়াম একাডেমি (আইডিইএ) ও আই ল্যাব ইনোভেশন নামের ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওয়ালটন নিজস্ব অর্থায়নে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করবে।
পলক বলেন, ভেন্টিলেটর উৎপাদনের পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে, তারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সেগুলো বাজারজাত করবে কিনা। আমরা শুধু গাইডলাইন দিয়ে যাবো।
ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ালটন, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), আই ল্যাব ইনোভেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও যুক্ত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের
এর আগে ২৯ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০০ ভেন্টিলেটর মেশিন আছে। আরো সাড়ে ৩০০ ভেন্টিলেটর আনা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া প্রাইভেট সেক্টরে ৭০০ ভেন্টিলেটর মেশিন আছে।