মুখের ক্যান্সার নিরাময়ে মধু!

51

ডেইলি রুটিনে অনেকেরই মধু মাস্ট। জিনিসটির গুণের শেষ নেই। বিউটি থেরাপি তো আম ব্যাপার। বাড়ি বাড়ি হয়। তবে ক্ষত সারাতেও কিন্তু মধুর জুড়ি মেলা ভার! সাম্প্রতিক রিসার্চে উঠে এসেছে, মধু-ম্যাজিকের আরও নমুনা। মুখের ক্যানসারেও এটি হতেই পারে মোক্ষম দাওয়াই। গবেষকরা পেয়েছেন এমনই সূত্র।
দেখলে শিড়দাঁড়া দিয়ে বয়ে যায় ঠান্ডা স্রোত। গা ঘিনঘিনে ভাব। রোগীর রোগভোগ তো রয়েইছে। মুখের ক্যানসারের এমনই এফেক্ট। ডাক্তাররা বলছেন, মুখের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হওয়া ঘা’ই অনেকসময় ক্যানসারের রূপ নিচ্ছে। মুখের মধ্যে ঘা থেকেই ক্রমে তৈরি হচ্ছে প্রি-ক্যানসারাস সেল।
ক্যানসার রোধে, কী কাজে লাগতে পারে মধু? এরই তথ্যতালাশে বহুদিন ধরে কাজ করছেন গবেষকরা। মুখের ঘা থেকে বায়োপসি করে, প্রি-ক্যানসারাস সেল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আইআইটি খড়গপুরের গবেষণাগারে।
আইআইটি খড়গপুরে গবেষণায়, মধুর সঙ্গে রেশম কাপড় থেকে বের করা তন্তু মিশিয়ে একধরনের নতুন থেরাপিউটিক প্যাচ তৈরি করা হয়। থেরাপিউটিক প্যাচের ওপর নর্ম্যাল সেল এবং প্রি ক্যানসারাস সেল, দুটিই আলাদাভাবে রাখা হয়। দেখা যায়, মধু-রেশম তন্তুর থেরাপিউটিক প্যাচের ওপর নর্ম্যাল সেল স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকদের আশ্চর্য করে, প্রি-ক্যানসারাস সেলগুলির বৃদ্ধি আটকে যায় থেরাপিউটিক প্যাচের ওপর।
রেজাল্ট দেখে উৎসাহিত গবেষকরা। তাঁদের আশা, প্রি-ক্যানসারাস সেল-এ এই থেরাপিউটিক প্যাচের এফেক্ট, ক্যানসার প্রতিরোধে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। কে বলতে পারে, আগামিদিনে মুখের ক্যানসার রোধে এই মধুই হয়ে উঠবে না মাস্ট মেডিসিন! সূত্র : ইন্টারনেট