মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিষদের জহুর আহমদ চৌধুরী স্মরণসভা

72

যিনি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, যিনি ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে রাজপথ কাঁপিয়ে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জেল জুলুম সহ্য করেছেন, বঞ্চিত মানুষের দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন তিনিই তো প্রকৃত জননেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি তৃণমূল থেকেই গড়ে ওঠা উপমহাদেশের নির্লোভ ও ত্যাগী রাজনীতির উজ্জ্বল মডেল। এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০০১ সালে সরকার তাঁকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদ ২ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় লালদিঘী পাড় সোনালী হলে পরিষদের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শওকত ইমরানের সঞ্চালনায় জহুর আহমেদ চৌধুরী ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী, আওয়ামীলীগ ১৯৪৯ সালের জন্ম মূহূর্তের রোজ গার্ডেন সম্মেলনের সাক্ষী ও সদস্য। চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর বিস্তৃত রাজনৈতিক জীবন, গণ মানুষের আস্থাভাজন ও পথপ্রদর্শক শীর্ষক বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জহুর আহমেদ চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান মহানগর আওয়ালীগ নেতা মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সদস্য ডা. এ, কে. এম. ফজলুক হক সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ ডা. চন্দন দত্ত, ডা. রতন চক্রবর্তী, আসিফ ইকবাল, সজল দাশ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ সাব্বির, মোহাম্মদ রাশেদ, নারীনেত্রী সালমা বেগম নূপূর, ডা. রাজিনা ফেরদৌস জান্নাত, শবনম ফেরদৌসী, সৈয়দা শাহানারা বেগম, বিনা রুদ্র, রুমকি সেন গুপ্তা, ঝর্ণা নন্দী, মামুনুর রহমান মামুন, সুজন চৌধুরী, মো. নবী প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কে. এইচ. এম. তারেক। সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার প্রাক্কালে জাতির পিতা তার স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি দেশ বিদেশের প্রচারের দায়িত্ব জহুর আহমেদ চৌধুরীকে দেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী দেশ দরদী, মানব প্রেমী, স্বার্থহীন, উদার প্রাণের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। এই নি:স্বার্থ মনোভাবের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি