মিহিদানায় ক্ষতিকর রং

18

জনপ্রিয় মিষ্টান্ন ‘বুন্দিয়া’, চট্টগ্রামে ‘মিহিদানা’ নামে পরিচিত। এটি তৈরিতে ক্ষতিকর রং ব্যবহার করায় সাগরিকার বিনিময় হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ধ্বংস করা হয় রং মেশানো বুন্দিয়া।
এখানেই শেষ নয়, পতেঙ্গা থানা এলাকার মজিদ স্টোরে অননুমোদিত রং খাদ্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৩ কেজি রং ধ্বংস করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে কমদামি ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রং মেশানো বুন্দিয়া পাওয়া যায়।
পতেঙ্গা, বন্দর ও পাহাড়তলী থানার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযানে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং খাদ্যপণ্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে
এপিবিএন-৯ এর সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। খবর বাংলানিউজের
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, একজন ভোক্তার ৩৩৩ নম্বরে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অলংকার মোড়ের সেবা ভাতঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ছাপা নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণ, ফ্রিজে রান্না করা খাবার কাঁচা মাংসের সঙ্গে সংরক্ষণ ও পোড়াতেল ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য ফেলে দেওয়া হয়। দইয়ের পাত্রে উৎপাদন, মেয়াদ না থাকায় নবী স্টোর এবং পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় আনোয়ার স্টোরকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পতেঙ্গা থানা এলাকায় রাস্তার পাশে নোংরা ও খোলা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় আল আরাফাত কুলিং কর্নারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় সাগরিকা মোড়ের মা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
বন্দর থানার মাইলের মাথার নয়ন বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিএসটিআই’র অনুমোদন গ্রহণ ও ক্ষতিকর রং ব্যবহার না করার শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া হয়।
উপপরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত তদারকি এবং কোনো অনিয়ম দেখা গেলে স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন।