মিলাদুন্নবীর (দ.) জুলুসে ৬০ লাখ লোক সমাগমের আশা

92

অন্যান্য বছরের ন্যায় আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস বের করা হবে। এবারের জুলুসে অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশাল এ জুলুসের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকের জন্য একটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা রাখবে পিএইচপি ফ্যামেলি। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আনজুমানের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। তাঁর সাথে আরো থাকবেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ)।
এবার কাজির দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চ স্থাপন করা হবে। এতে জুলুসের সদারতকারী হুজুর কেবলা সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ এবং বিশ্বাবাসীর কাছে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) জুলুসের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন এবং বাংলাদেশের শান্তি-সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় মুনাজাত করবেন।
ঐদিন জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ শরিফ থেকে সকাল ৯টায় জুলুস বের হবে। জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদরাসা মাঠে মিলিত হবে।
সুফি মিজানুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের প্রথম জুলুসটি বের হয় বলুয়ার দীঘি খানকাহ শরিফ থেকে নূর মুহাম্মদ আল কাদেরির নেতৃত্বে। ঢাকায় প্রথম জুলুস হয় কায়েৎটুলিস্থ খানকাহ শরিফ থেকে। পরে চট্টগ্রামের জুলুস জামেয়া থেকে শুরু হয়ে জামেয়াতে এবং ঢাকার জুলুস মুহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদরাসা থেকে শুরু হয়ে আবার মাদরাসায় ফিরে আসে। বর্তমানে এভাবেই চলছে আমাদের জুলুস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য জশনে জুলুসের মতো একটি নির্মল ইসলামী সংস্কৃতির প্রবর্তক হিসেবে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ’র (রহ.) প্রতি শোকরিয়া জানাচ্ছি। ১৯৭৪ সাল থেকে তার নির্দেশেই এদেশে জশনে জুলুস নামে একটি গতিশীল ইসলামী সংস্কৃতি সর্বপ্রথম চালু হয়। এরপর থেকে ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে ও ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকায় জুলুস বের হচ্ছে।
সুফি মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রামের জশনে জুলুস গিনেস বুক রেকর্ডে স্থান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য মিডিয়া এ জশনে জুলুসের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার জুলুসে ৬০ লাখের বেশি আশেকে রাসূলের সমাগম হবে। জুলুসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাতে সাংবাদিকরা কাভার করতে পারেন সে লক্ষ্যে পিএইচপির হেলিকপ্টারটি প্রেস ক্লাবকে দেওয়া হবে। একসঙ্গে ৪ জন সাংবাদিক বসতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন, সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, আনজুমানের এডিশনাল সেক্রেটারি শামসুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন মো. শাকের, মো. সিরাজুল হক, অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান, দিদারুল ইসলাম, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার প্রমুখ।