মিরসরাইয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ২

23

মিরসরাইয়ে সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দুই বখাটে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন (১৯) ও পারভেজ আলম মাহি (১৯) নামের দুইজনকে গতকাল বুধবার আটক করেছে পুলিশ। আরিফ হোসেন কলেজছাত্র ও পারভেজ আলম মাহি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মিরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির। ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদি হয়ে এই ঘটনায় মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাই পৌরসভার করিম মার্কেটের ছাদে এক ছেলে সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে যান ধর্ষণের শিকার স্থানীয় লতিফিয়া কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এই ছাত্রী। এসময় ওই সহপাঠীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্থানীয় মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরিফ হোসেন ও তার বন্ধু করিম মার্কেটের ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী পারভেজ আলম মাহি। পরে মেয়েটিকে তারা দুই বন্ধু মিলে মার্কেটের ছাদের মোবাইল টাওয়ারের একটি রুমে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়।
মিরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা রাখার চেষ্টা করে ওই ছাত্রীর পরিবার। গতকাল বুধবার মাদ্রাসার একটি কর্মশালায় উপজেলা তথ্য সংগ্রহ কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা তুন্নিকে বিষয়টি জানান ওই ছাত্রী। পরে ওই কর্মকর্তা মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে জানালে তিনি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশকে জানান। পরে ছাত্রীটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ ও দীনেশ দাশ গুপ্ত অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরিফ ও মাহিকে আটক করে। আটকের পর তারা উভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, আটকের পর আরিফ ও মাহিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। ধর্ষিতা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।