মিরসরাইয়ে বালুর ট্রাকসহ ভেঙে পড়ল বেইলি ব্রিজ

67

মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাট-রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কে বালুভর্তি ড্রাম ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে ছড়ায়। দুর্ঘটনার পর ১৮ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল ওই সড়কে। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীদের। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টায় বারইয়ারহাট-রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের মিরসরাইয়ের ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ল²ীছড়া ব্রিজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারইয়ারহাট-রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ল²ীছড়ার উপর পুরাতন ব্রিজ ভেঙ্গে সেখানে নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সময়ের জন্য একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও ব্রিজ উন্নয়নের কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল কন্সট্রাকশন কোম্পানী। বুধবার ভোরে হোসেন কনস্ট্রাকশনের প্রায় ৪০ টন ওজনের একটি বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক ব্রিজটির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে ছড়ায় পড়ে যায়। এতে করে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ধ্বসে পড়ে যাওয়া ব্রিজের পাশে বিকল্প সড়ক নির্মাণের পর রাত ৯ টা নাগাদ যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সড়কটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে বারইয়ারহাট-রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের যাত্রীরা। প্রতিদিন বালু পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ৩০-৪০ টনের অধিক ৪০-৫০টি ড্রাম ট্রাক চলাচল করে ওই বেইলি ব্রিজ দিয়ে। সিপিসিএলের সিগন্যালম্যানের বাধা অমান্য করে চালকরা চলে যায়। তাই ব্রিজটি স্বল্প সময়ের মধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশাচালক মনোয়ার হোসেন জানান, বেইলি ব্রিজটি দিয়ে ৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও ভারি যানবাহন চালকরা তা মানছে না। ফলে ব্রিজটি ধ্বসে পড়েছে ছড়ায়।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, বুধবার ভোরে একটি ট্রাক ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে গেলে সড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ব্রিজ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত কনস্ট্রাকশন কোম্পানী সিপিসিএলের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার নরেন মজুমদার বলেন, লক্ষীছড়া বেইলি ব্রিজটির ধারণ ক্ষমতা ৫ টন। কিন্তু বেইলি ব্রিজটি দিয়ে ৩০-৪০ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করে তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে।