মিরসরাইয়ে ডিজিটাল ভূমি জরিপে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেন তদন্তে দুদক

48

মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নে ডিজিটাল ভূমি জরিপে অনিয়মও ঘুষ লেনদেন বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ারপর সরেজমিনে তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৭ জুলাই দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে এসময় উপ-সহকারী রিয়াজ উদ্দিন ও কং-৪১৯ উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুদক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলেন। এসময় অনেক ভূক্তভোগী দুদক কর্মকর্তাদের কাছে তাদের অভিযাগ তুলে ধরেন। পরে দুদক কর্মকর্তারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের কার্যালয়ে এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন। জিজিটাল ভূমি জরিপ বাতিলের দাবিতে গঠিত কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা তোবারক হোসেন জানান, গত রবিবার দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তা অনিয়মের বিষয়ে ভূক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। তারা ত্রæটিপূর্ণ জরিপ সংশোধনের কথা বলেন। আমরা ত্রæটিপূর্ণ জরিপের বাতিল চাই। পূর্বের ত্রæটিপূর্ণ জরিপ বাতিল করে নতুনভাবে জরিপ কাজ শুরু করতে হবে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন দুদক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন নিয়ে ঘটনাস্থলে একটি গণশুনানির আয়োজন করেন। গণশুনানিতে ভূক্তভোগীদের দেওয়া অভিযোগগুলো লিপিবদ্ধ করে নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই অভিযোগগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে বলে জানান। ভূক্তভোগীরা সার্ভেয়ার জাকির, মিজানুর রহমান ও মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেন। কিন্তু দুদক কর্মকর্তারা উপজেলা সেটেলম্যান্ট কার্যালয়ে গিয়ে ওই তিন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাননি। এসময় সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা এ তিন কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তাদের জানান। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-সহকারী রিয়াজ উদ্দিন জানান, রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মিরসরাই উপজেলা সেটেলম্যান্ট কার্যালয়ে গেলে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ জানান, করেরহাটে ডিজিটাল ভূমি জরিপে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।