মিন্নিই রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড

39

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টারমাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। আদালত রায়ের অবজারবেশনে এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি যে রিফাত শরীফের হত্যাকান্ড মিন্নির কারণেই সংগঠিত হয়েছে। মিন্নি না হলে এ হত্যাকান্ড হতো না। আর আদালতের অবজারবেশনেও ছিল যে মিন্নির কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে।
কিসলু বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনে থাকা নিয়ে আমাদের কোনো হতাশা বা ক্ষোভ নেই। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি এবং পেয়েছি। রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিন্নিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বার্তাসংস্থার
যেভাবে সাক্ষী থেকে আসামি : রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে বিষয়টি বেশ আলোড়িত হয়। এরপর এই হত্যা মামলাকে ঘিরে এ আলোচনাকে আরও জোরালো করেছে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নি সাক্ষী থেকে আসামি হওয়ার ঘটনা।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়শার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার পর ২৭ জুন এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়শাকে। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার পরপরই বদলে যেতে থাকে মামলার দৃশ্যপট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই হত্যায় আয়শাকে দায়ী করে বিভিন্নভাবে প্রচার শুরু হয়। মামলার ১৮ দিন পর ১৩ জুলাই এ হত্যাকান্ডে আয়শা জড়িত, এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন আয়শার শ্বশুর আবদুল হালিম শরীফ। পরদিন আয়শার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তাঁরা।