মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

58

চল্লিশ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার কমিশনের এক সভায় এই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘অবৈধভাবে সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশ্যে’ এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।
শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা জানিয়েছেন।
এদিকে আগামি ৯ ফেব্রূয়ারির মধ্যে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ঠিক করে রেখেছে আদালত। ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গত ১৬ জুলাই ফানাফিল্যা মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘দায় থেকে বাঁচার জন্য’ ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ‘প্রভাবিত করেন’ বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’।
ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। খবর বিডিনিউজের
গত বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে পরে এই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।