মালিতে সহিংসতায় সৈন্যসহ নিহত অন্তত ৪০

14

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে পৃথক তিনটি ঘটনায় নয় সৈন্যসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। বিবিসি জানায়, মালির মধ্যাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে ৩১ জনকে হত্যা করে, তারা গ্রামবাসীদের ঘরবাড়ি, ফসল ও গবাদিপশু পুড়িয়ে দেয়। আরেকটি ঘটনায় এক গ্রামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের চোরাগোপ্তা হামলায় আট সৈন্য নিহত হয়, গাও অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর শিবিরে হামলা চলাকালে আরেক সৈন্য নিহত হয়। ২০১২ সালে উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি উত্থানের পর থেকে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মালিজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের অগোসাগু নামের যে গ্রামটিতে হামলা হয়েছে তার অধিকাংশ বাসিন্দাই ফুলানি নৃগোষ্ঠীর। এই গোষ্ঠীর লোকজন প্রধানত মুসলিম। ঐতিহ্যগতভাবেই তারা পশুপালক জাতি। দোগোন নৃগোষ্ঠীসহ মালির অন্যান্য নৃগোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সাহেল অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টারত জঙ্গিদের সঙ্গে ফুলানিদের সম্পর্ক আছে। এসব অভিযোগ সা¤প্রতিক বছরগুলোর জাতিগত সহিংসতায় ইন্ধন যুগিয়েছে।
গত মার্চে অগোসাগুতে আরেকটি হামলায় ১৬০ জন নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার জন্য দোগোন মিলিশিয়াদের দায়ী করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষগুলো। ওই হামলার ঘটনা নিয়ে মালিজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখা দেয়। সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুমেইলো বুবে মেইগা পদত্যাগ করেন। এবারের হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। অগোসাগু গ্রামের প্রধান আলি উসমান ব্যারি স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের এলাকা থেকে সরকারি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটে এবং হামলাকারীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালায়।
পৃথক আরেকটি ঘটনায় দেশটির দক্ষিণপশ্চমাঞ্চলীয় গ্রাম বিনতিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলায় আট সৈন্য নিহত ও আরও চার জন আহত হয়। ক্ষতি সত্তে¡ও হামলা প্রতিহত করা গেছে বলে এক টুইটে দাবি করেছে মালির নিরাপত্তা বাহিনী। মোনদোরোতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি শিবিরে জঙ্গিদের হামলায় আরেক সৈন্য নিহত হয়। এই শিবিরটি নিয়মিত জঙ্গি হামলার মুখে পড়ে বলে বিবিসি জানিয়েছে। বিডিনিউজ