মার্চেই সম্পর্কোচ্ছেদে ‘বদ্ধপরিকর’ মে

40

যথা সময়ে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদে তিনি ‘বদ্ধপরিকর’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। সম্পর্কোচ্ছেদের পর আয়ারল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত প্রক্রিয়া (আইরিশ ব্যাকস্টপ) কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রাসেলস যাওয়ার আগে দ্য সানডে টেলিগ্রাফে এক কলামে এ কথা বলেন মে। দনতুন দাবি, নতুন পরিকল্পনা এবং পুনরায় দৃঢ়সংকল্প’ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গ আলোচনা করতে যাবেন জানিয়ে মে লেখেন, “ব্যাকস্টপ নিয়ে বিকল্প একটি পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, যদিও সেটা শুধুই একটি বিকল্প। জ্যেষ্ঠ নেতা স্যার গ্রাহাম বর্তমান ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা নিয়েও খুশি থাকতেন যদি সেখানে সময় বেঁধে দেওয়া হতো বা একতরফা বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতো।” যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রভাবশালী ব্যাকবেঞ্চারদের ‘১৯২২ কমিটি অব কনজারভেটিভ’র প্রধান গ্রাহাম ব্রাডি।
গত মঙ্গলবার আইরিশ ব্যাকস্টপ নিয়ে ‘বিকল্প পরিকল্পনার’র পক্ষে সমর্থন দেন যুক্তরাজ্যের এমপিরা। যদিও আয়ারল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী সিমন কনভেনি বলেছেন, নতুন প্রস্তাবে ‘ব্যাকস্টপ নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থার কথা নেই’। “সম্পর্কোচ্ছেদের চুক্তি নিয়ে ইউ নতুন করে আলোচনা করবে না। আর ব্যাকস্টপ ব্যবস্থায় পরিবর্তন না হলে কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি হবে না।” ব্যাকস্টপ ব্যবস্থায় অবশ্যই ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি বা বেলফাস্ট চুক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’ বলেও জানান তিনি। দীর্ঘ ৩০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে নর্দান আয়ারল্যান্ডে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে বেলফাস্ট চুক্তি সাক্ষর হয়। এই চুক্তির অধীনেই নর্থান আয়ারল্যান্ডের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং স্বাধীন রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হবে তা এই চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কও এই চুক্তি দ্বারা নির্ধারিত।
ব্রেক্সিটের পর ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একমাত্র সীমান্ত এই আইরিশ বর্ডার। স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কোচ্ছেদের পর সীমান্ত ব্যবস্থা কেমন হবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ সদস্য রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড উভয়ই বিচ্ছেদের পরও সীমান্ত ব্যবস্থায় কড়াকড়ি চাইছে না। তারা ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি’ অনুযায়ী চলতে চাইছে। মে বলেন, ব্যকস্টপ নিয়ে বিকল্প যে পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে সেটা ‘গুড ফ্রাইডে চু্ক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না’।
অন্যদিকে কনভেনি বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থায় এমন কিছু নেই যেটা কড়া সীমান্ত ব্যবস্থাকে এড়াতে দেবে। অথচ ব্যাকস্টপ নিয়ে নিশ্চিত ব্যবস্থা প্রয়োজন।” পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। অথচ এখনও কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি হয়নি। যুক্তরাজ্য কোনো চুক্তি ছাড়া সম্পর্কোচ্ছেদ করতে চাইছে না। তাই কয়েকজন এমপি ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মে যথা সময়ে সম্পর্কোচ্ছেদের উপর জোর দিয়ে বলেন, তিনি যথাসময়ে ‘ব্রেক্সিট চুক্তি পেশ করে’ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবেন। বিডিনিউজ