মার্কেট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

71

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার শেখ শফিউল আজম ও মহাসচিব আলহাজ¦ এইচ এম মজিবুল হক শুক্কুর সংবাদ পত্রে পদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে। বলেছেন, করোনা নামক অভিশপ্ত ভাইরাসের অশুভ শিকারে পরিণত হয়ে তাবৎ দুনিয়া এক অচেনা রূপ পরিগ্রহ করেছে। বিশে^ও সকল চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য গবেষক গনের যাবতীয় গবেষনাকর্ম ব্যর্থতায় পর্যবসিত। শক্তিধর প্রায় সকল রাষ্ট্রই আজ খেই হারিয়ে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। অপ্রতিরোধ্য এহেন প্রাণহানির ঘটনা বিশ^ ইতিহাসের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হোম কোয়ারেন্টাইন তথা লকডাউনই এ অদৃশ্য ভাইরাস মোকাবিলার বিকল্প বলে গোটা বিশ^ একমত পোষন করেছে। যে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এর মত ছোট্ট দরিদ্র দেশটিও সেই পথেই হাটতে শুরু করে। প্রায় দেড় মাস যাবত সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষনায় বিরামহীন লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকে এ দেশ। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা ও সক্রিয় দায়িত্বশীল ভূমিকায় এ মহামারীর তান্ডব সহনীয় মাত্রা ছাড়াতে পারেনি। সেজন্য সরকার নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। হঠাৎ করে গার্মেন্টস কারখানা তথা সীমিত আকারে শপিংমল সমূহ খুলে দেয়ার মাধ্যমে লকডাউন শিথিল করার ঘোষনা জনজীবনকে মারাত্নক ঝুঁকির মুখে নিপতিত করেছে। বর্ধিষ্ণু আক্রান্ত হার থাকা সত্তে¡ও এধরনের ঘোষনা জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদ বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাটা নিশ্চিতভাবে উপেক্ষিত হবে। সর্বত্র লঙিঘত হবে স্বাস্থ্যবিধি। ফলে ইতালী, যুক্তরাষ্ট্রের পরিণতি বরণ করতে হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে এ সময়টিতেই নাকি ভাইরাসটির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই এসময়ে এহেন সিদ্ধান্ত সরকারের ইতোপূর্বেকার যাবতীয় কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। বিশ^ স্বাস্থ্যা সংস্থা ও কোন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগন এবং টেকনেশিয়ানরা বাংলাদেশের জন্য মে মাসকে করোনাভাইরাস আক্রান্তের জন্য সর্বোচ্ছ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করা সত্তেও কেন সরকার এ ঝুঁকি নিচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয় তদুপরি হঠাৎ করে আগামী ১০ই মে থেকে মার্কেট ও শপিংমল খোলার সরকারের এ সিদ্ধান্তে ঈদের কেনাকাটায় নিঃস্ব হবে উপার্জনহীন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার সমূহ। সরকারী এ সিদ্ধান্তে জাতীয় জীবন চরম বিপর্যয়ে সম্মুখীন হবে এবং ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি হবে। তাই সরকারের এ মূহুর্তে মার্কেট ও শপিংমল খোলার মত জনবিরোধী সিদ্ধান্ত হতে সরে এসে লকডাউন শিথিলের মত আন্তঘাতি সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা পূর্বক আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করার জন্য নেতৃবৃন্দ সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে মুসলিম অধ্যুষিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তমত একটি দেশ। ফলে স্বভাবতই এদেশের মানুষ ধর্মানুরাগী। তথাপিও এদেশের ধর্মপরায়ন মানুষ জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে সরকারী আদেশ রক্ষার্থে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম চর্চা থেকে বিরত রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, সার্বিক ক্ষেত্রে সরকার লকডাউন শিথিল করলোও মসজিদে লকডাউন তথা সিমীত আকারে জামাতে সিদ্ধান্ত বরারই বহাল রেখেছে। যা ক্রমগতভাবে ধর্মনুরাগী মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। এমতাবস্থায় সরকারকে “শ্যাম রাখি না কুল রাখি” নীতি পরিহার করে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে মার্কেট ও পশিংমল খোলার সিন্ধান্ত বাতিলের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি