মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে ইরানি ট্যাংকারের তেল বিক্রি

30

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত ইরানের তেল ট্যাংকার ‘আদরিয়ান দারিয়া-১’ ভূমধ্যসাগরের তীরে নোঙর করেছে। নোঙরের পর ওই ট্যাংকারটির তেল ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মুসাভি বলেন, ইরান এর আগেও ঘোষণা করেছে ওই তেল ট্যাংকারের তেল বিক্রি হয়ে গেছে এবং তেহরান যে কোনও মূল্যে ওই পণ্য তার ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করবে। তবে ভূমধ্যসাগরের তীরে কোন দেশের কাছে তেল বিক্রি করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করেননি।
তিনি বলেন, নানা হয়রানিমূলক পদক্ষেপ সত্তে¡ও ‘আদরিয়ান দারিয়া-১’ ভূমধ্যসাগরের তীরে নোঙর করে তার তেল প্রকৃত ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। হরমুজ প্রণালীতে আইন অমান্য করার কারণে ইরানের হাতে আটক ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরো নিয়েও কথা বলেন মুসাভি। তিনি বলেন, ওই তেল ট্যাংকারটির আইনি প্রক্রিয়া শেষের দিকে রয়েছে। খুব শিগগিরই এটি ছেড়ে দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ নৌবাহিনী গত ৪ জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলবাহী ইরানি ট্যাংকার ‘আদরিয়ান দারিয়া-১’ আটক করে। ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে দাবি করে ব্রিটেন জানায়, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের অংশ হিসেবে ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ওয়াশিংটনের অনুরোধে তেল ট্যাংকারটি আটক করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯ জুলাই পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী অতিক্রমের সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’কে আটক করে ইরান। এরপর কূটনৈতিক চ্যানেলে তেহরানের ব্যাপক প্রচেষ্টার পর ১৫ আগস্ট জিব্রাল্টারের আদালতের নির্দেশে ইরানের সুপার তেল ট্যাংকারটি মুক্তি পেয়ে ভূমধ্যসাগর অভিমুখে যাত্রার প্রস্তুতি নেয়। এর একদিনের মাথায় এটি জব্দ করতে পরোয়ানা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন হুমকি মাথায় নিয়েই শেষ পর্যন্ত নিরাপদে গন্তব্যে নোঙর করে জাহাজটি।