মার্কিন বিরোধিতার পরও রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পেলো তুরস্ক

38

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ এর প্রথম চালান গ্রহণ করেছে তুরস্ক। শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারার একটি বিমানঘাঁটিতে প্রথম চালানটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনায় আঙ্কারার ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প প্রশাসন। তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। এফ-৩৫ কর্মসূচিতেও ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে তারা।
বিমানের ৯৩৭টি পার্টস উৎপাদন করছে তুর্কি কোম্পানিগুলো। আবার রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনছে তুরস্ক। এতেই আপত্তি যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং তা নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্র চায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের বদলে তুরস্ক মার্কিন প্যাট্রিয়ট বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা কিনুক।
তুরস্ক বলে আসছে এফ-৩৫ ও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আলাদা অবস্থানে থাকবে। আর বিকল্প ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্র ধীর গতি দেখিয়েছে। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় চুক্তি অব্যাহত থাকলে এফ-৩৫ কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়ার সতর্কতা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ার করা হয়েছে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখেও পড়তে হতে পারে আঙ্কারাকে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না।
২৯ সদস্যের সামরিক জোট ন্যাটো’র দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী তুরস্কের। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র তুরস্কের অবস্থান কৌশলগত। সিরিয়া, ইরাক ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে তাদের। সিরিয়া যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সেনা ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত দেশের সঙ্গে স¤প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তুরস্কের। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থান চেষ্টার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আরও বেশি কর্তৃত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে তারা।