মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ হাজির

34

বরার্ট মুলারের বহুল প্রতীক্ষিত তদন্ত প্রতিবেদনে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ২৩ মাসের তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনা হয়। মুলারের অনুসন্ধান অনুযায়ী, মার্কিন নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টনকে পরাজিত করে লাভবান হতে চেয়েছিল রাশিয়া। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, উদ্দেশ্য সফল করতে রুশ গোয়েন্দারা তৎপর ছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিলো সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রায় সাড়ে চারশ পৃষ্ঠার মুলার-প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সে দেশের গোয়েন্দারা মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে ট্রাম্পকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল ক্রেমলিন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ উদ্দেশ্য সফল করতে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তাদেরকে ট্রাম্প-পুতিন কথোপকথন, দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন, রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। উইকিলিকস কর্তৃক হিলারি ক্লিন্টন ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসেও রাশিয়ার সংযোগ পেয়েছেন মুলার।