মারিশ্যা-দীঘিনালা ও সাজেক সড়কের স্থায়ী নিরাপত্তা জোরদারের দাবি

94

গত ২০ মার্চ নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ফেরার পথে ৭ নিরিহ নির্বাচন কর্মীকে ব্রাশ ফায়ার করার পর মারিশ্যা দীঘিনালা ও সাজেক সড়কের দু’পাশে স্থায়ী নিরাপত্তা জোরদারের দাবি উঠেছে। এ ঘটনার পর হতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলে ভয় পাচ্ছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করছে যে, আবারো যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা জানান, সর্ব সাধারণের চলাচলে মোটেই নিরাপদ নয় মারিশ্যা-দীঘিনালা ও সাজেক সড়ক। তাই অচিরেই সড়কের দু’পাশে স্থায়ী ভাবে সেনা বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসার ক্যাম্প স্থাপন করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবি জানাই।
তারা বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা আসতে ৪ মাইল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও ৯ মাইল এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হউক। সাজেক সড়কের মারিশ্যা-দীঘিনালা সীমানা জোড়া ব্রিজ এলাকায় সেনা ক্যাম্প বা বিজিবি ক্যাম্প বসানো হউক। অপর দিকে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৯মাইল, ১১ মাইল ও ৮ মাইলে সেনা, বিজিবি বা ব্যাটালিয়ন আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা দাবি উঠেছে। মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের আশপাশের এলাকায় দিন দুপুরে জেএসএস ও ইউপিডিএফসহ ৪টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল চাঁদা আদায় করে সে সব এলাকাসমূহ জোড়া ব্রিজ হাজাছড়া, সুপারি পাতা যাত্রী ছাউনি এলাকা, খাগড়াছড়ির ৪ মাইল এলাকা, সাজেক সড়কের গঙ্গারাম, উজু বাজার, সাজেক সড়কের আট মাইল এলাকা, ১০নং ডিবি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা, মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৯মাইল তুম্বাচ রেস্টুরেন্ট এলাকা, ১১ মাইল এলাকা ও ৩ কিলোমিটার এলাকা।
স্থানীয়রা আরো জানান, যাত্রীসহ পর্যটকেরা নিরাপদে চলাচলের জন্য খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ভ্যালি পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে নিরাপত্তা জোরদার, সেনা ও বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করে টহল জোরদার করা হলে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে ৭ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী।
এ নিয়ে উদ্ধেক প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার ও স্থানী জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলেন, শান্তি চুক্তির পর এই প্রথম সন্ত্রাসীরা নিরিহ লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা।