মামুনুল-ফয়জুলের বিরুদ্ধে মামলা করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

38

ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গতকাল শনিবার মঞ্চের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রবিবার (আজ) আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘কিছুদিন আগে মৌলবাদী অপশক্তি মামুনুল হক ও ফয়জুল করিম কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এহেন বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ ও অবমাননা করে মামুনুল গংরা প্রকাশ্যে বড় বড় গলায় কথা বলছে। মৌলবাদী অপশক্তিরা ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরা ভাস্কর্য ও মূর্তির পার্থক্যের অপব্যাখ্যা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত পদক্ষেপ না নিলে আমরা দেশ ও জাতির ‘সমূহ বিপর্যয়ের’ আশঙ্কা প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে’।
ধর্ষণের মতো বলাৎকারের অপরাধে অভিযুক্ত ও বলৎকারের সমর্থনদাতাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐের দাবি জানিয়ে মামুন বলেন, ‘গত এক মাসে দেশে প্রায় ৩৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলৎকার করা হয়েছে, যার মধ্যে দুইজন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে এবং ইতোমধ্যে একজন শিশু আত্মহত্যা করেছে। খুবই দুঃখের বিষয় এই যে, বলৎকার নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের আলেমদের কোনো মন্তব্য বা প্রতিবাদ আমাদের চোখে পড়েনি। নিজেদেরকে ইসলামিক দল হিসেবে দাবি করা হেফাজতে ইসলামের নেতারাও বলাৎকারের ঘটনাগুলো নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় এই বলৎকারের সাথে তারাও জড়িত বা সমর্থনদাতা। মামুনুল হক গংরা বলাৎকারের নীরব সমর্থনদাতা’। খবর বিডিনিউজের
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বলৎকারের ঘটনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র আগামি ৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৪ টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রদর্শন করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বলৎকারের প্রতিবাদে আগামি ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে।