মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি, জমি দখলের চেষ্টা

31

কর্ণফুলীর ইছানগরে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর একটি মমালায় হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার পথে শেখ মহিউদ্দিন (৪৮) কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটে। এ মামলায় দুই দফা তদন্ত শেষে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা জামিনে এসে এবার বাদিকে হত্যার হুমকী এবং আসামি কর্তৃক তাদের একটি জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছে মামলা বাদি মোহাম্মদ ফয়সল। কিন্তু এরপর তিনি আসামিদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৫ অক্টোবর ইছানগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্সের পাশে শিশুরা খেলার সময় বলটি নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তি গায়ে পড়ে। গায়ে ফুটবল পড়াকে কেন্দ্র করে শিশুদের মারধরের প্রতিবাদ করে মহিউদ্দিন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে শালিশী বৈঠকে মাতব্বররা বিষয়টি সমাধানের জন্য নিহত মহিউদ্দিনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জামানত দাবি করে। কিন্তু প্রতিপক্ষ মহব্বত আলীর কাছ থেকে কোন জামানত চাওয়া হয় নি। এ কারণে জামানত প্রদানে অস্বীকৃতি জানানোয় মহব্বত আলীর নেতৃত্বে হত্যা করা হয় শেখ মহিউদ্দিনকে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহব্বত আলীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলেও দুই দফা তদন্ত শেষে পুলিশ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, জামানত না দেয়ার কারণে ক্ষুব্দ মহব্বত আলীরা কর্ণফুলী নদীর ঘটে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে ও জবাই করে খুনের পর পাশের ড্রেনে ফেলে দেয়। এরপর অভিযুক্তরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে মহিউদ্দিনের ভাই ও পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে লাঞ্ছিত করছে। সবশেষ তাদের একটি জমি দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে জমিটি দখল এবং পরিবারের সদস্যদের হত্যার হমুকী দেয়। ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করা হয়। কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় জিডির প্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে নন এফআইআর প্রসিকিউশন প্রদানের কাজ চলছে। এছাড়া হত্যা মামলার বাদি পরিবারের নিরাপত্তায় নজর রাখা হয়েছে।