মামলা তুলে নিতে আসামিদের হুমকি

76

পাওনা টাকা চাওয়ায় নগরীর ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়ার সেঞ্চুরি টাওয়ারের পিছনের গলির মুখে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক আবু বক্কর নামে এক ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালের ১৯ নং ওয়ার্ডের ২৪নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পরবর্তীতে ৯ মে আবু বক্করের স্ত্রী- রাজিয়া সুলতানা লাকী বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আবু বক্করের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামিরা। এ কারণে ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২ বছর যাবত যৌথভাবে শিপে খাদ্যদ্রব্য সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে আসছেন ইমরান হোসেন ও আবু বক্কর। ব্যবসায় আবু বক্কর সিদ্দিক প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পর হিসাব চাইলে ইমরান হোসেন এড়িয়ে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে আবু বক্করকে টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে ইমরান হোসেন গত ৮ মে সেঞ্চুরি টাওয়ারের পেছনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে থাকা ৩০ থেকে ৪০ লোক তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ব্যবসার কাগজপত্র, মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি পানওয়ালা পাড়া আমিন ভবনের বাসিন্দা।
আবু বক্করের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা লাকী বাদি হয়ে ইমরান হোসেনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
ডলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুদীপ কুমার দাশ বলেন, বাকি আসামিদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আটক করা হবে।