মান্দারীটোলা সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত-খানাখন্দক

95

সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড মান্দারীটোলা সি সড়কের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন, ইট, পাথর উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসবে পানি জমে যায়। সড়কের উপর দিয়ে হেলে-দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। ঘটছে দুর্ঘটনা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের এ বেহাল দশা। সীতাকুন্ড উপজেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসাবে পরিচিত মান্দারীটোলা। এ অবস্থায় গ্রামটির মানুষের এখন করুণ অবস্থা। প্রায় ১২ বছর ধরে এ সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দুর্ভোগে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
এই সড়কটিতেই অবস্থিত দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ৭/৮টি শিল্পকারখানা। এসব কারখানা থেকে সরকার প্রতি বছর ৩০০-৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কোনো উদ্যোগ নেই।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরজমিন দেখা গেছে, সড়কের অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় গর্ত। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। মহাসড়ক থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাঁদা-পানিতে তলিয়ে যায়।
সাগর পাড়ে ফ্যাক্টরিতে চাকরিরতরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। সড়কের কিছু কিছু স্থানে ভিতরের রড বের হয়ে গেছে। সাগর পাড়ে অবস্থিত ফ্যাক্টরিগুলো থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু হাতে-গোনা কয়েকটি ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে সড়কের সংস্কার কাজ করে থাকে। সঠিকভাবে তদারকি ও সঠিক বাজেট পেশ করে স্থায়ীভাবে সড়কটি সংস্কার করলে, স্থানীয় জনগণ শান্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষও লাভবান হবে।
মান্দারীটোলা গ্রামের সিএনজি অটোরিক্শা চালক আলতাফ হোসেন বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট যানবাহন এবং ফ্যাক্টরির যানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা অথবা তার চেয়েও বেশি।
গাড়ি চালক মো. রুবেল বলেন, গত ১০ বছর যাবত সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে মালামাল আনা-নেওয়া করি। কিন্তু সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হওয়ায় গাড়ি চলে হেলে-দুলে, গর্তে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা কষ্টকর হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে গাড়ি উল্টে যায়। এ অবস্থায় গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। আমরা সড়কটির দ্রুত সংস্কার চাই।
বাড়বকুন্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজি বলেন, সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সড়কের পশ্চিমে সাগর পাড়ে অনেকগুলো ফ্যাক্টরি রয়েছে। ফ্যাক্টরিতে প্রতিনিয়ত গাড়ি চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় চালকদের। একইভাবে বাড়বকুন্ড বাজারে যাতায়াতে স্থানীয় গ্রামবাসীর কষ্টের সীমা নাই। শুনেছি সড়কটির সংস্কারে টেন্ডার হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের পর সংস্কার কাজ হওয়ার কথা।