মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার

38

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শরীর যেমন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তেমনি মনও প্রফুল্ল রাখতে পারে। চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সূত্রানুসারে, ‘কর্টিসোল’ হরমোন বৃদ্ধির কারনে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে সাধারণত এই হরমোন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে সার্বিক সুস্থতা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরও প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো বিস্তারিত।
ডার্ক চকলেট : চকলেট কবল মজাদারই না এটা উপকারীও। মানসিক চাপ দূর করতে ডার্ক চকলেট খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে পলিফেনল যা কর্টিসোলের মাত্রা কমায়। চকলেটে শর্করা থাকার কারণে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ যেমন- দুই থেকে চার টুকরা খাওয়া উচিত। তবে খেয়াল রাখতে হবে চকলেট যেন কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গাঢ় হয়।
দই : পূর্ণ ননীযুক্ত দই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস। দইয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়া কর্টিসোলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
ফল ও বেরি : কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভিটামিন সি উপকারী ভূমিকা পালন করে। এটা কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি মানসিক চাপও দূরে রাখে। ফল ও বেরি ভিটামিনের ভালো উৎস। তাই নিয়মিত বেরি ও ফলমূল যেমন- স্ট্রবেরি, কমলা, নাশপাতি ও কলা খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো।
বাদাম ও বীজ : কর্টিসোলের মাত্রা কমাতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বাদাম ও বীজ হলো নিরামিষ ধরনের খাবারের মধ্যে পুষ্টির ভালো উৎস। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পছন্দের বাদাম ও বীজ রাখুন। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন- স্যামন ও ম্যাকারেল খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন।
পানি : পানিশূন্যতা থেকে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়ে। কারণ শরীর তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান ও কর্মচঞ্চল জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ অনেকখানি কমাতে সাহায্য করে। খবর বিডিনিউজের