মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্প আশাব্যঞ্জক

22

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের দরিদ্র অসহায় মানুষদের সহায়। দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে তিনি পুলক অনুভব করেন। তাঁর সময়োচিত নানা পদক্ষেপ দেশের মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, পরবর্তীতে ছাত্রদেরকেও উপবৃত্তির আওতায় সংযোজন, বার্ধক্য ভাতা প্রদান, দরিদ্র অসহায় পরিবারকে চাল প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি, ন্যায্যমূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ, করোনাকালীন সময়ে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ ইত্যাদি প্রশংসার দাবিদার। দেশে বাস্তুহারা অসহায়, ভূমিহীন, নদী সিকস্তি গৃহহীন বহু মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করেছে। মানুষের গড় আয় বেড়েছে কিন্তু নিঃস্ব মানুষ ও পরিবারের সংখ্যাও কম নয়। রাস্তার ধারে ফুটপাতে, রেল স্টেশনে, সৈকতের ধারে, বেড়িবাঁধে গৃহহীন, ভূমিহীন বহু মানুষকে এখনো পলিথিনের ঝুপড়ি গড়ে কোন রকম মাথাগুঁজে কিংবা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে দেখা যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে ভাবেন এবং তাদের দুঃখকষ্ট লাঘবে চিন্তা করেন। যার ফলে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের ১৩৭৪ পরিবারকে পূনর্বাসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে নির্মিতব্য এ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলার সরকারি ভূমিতে দুই শতক জায়গার উপর সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের মধ্যে তা বিতরণ করার এ কর্মসূচির ৪৬৮টি ঘর ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৩৭৪টি ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য গৃহীত প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার ভূমি ও গৃহহীনরা পাবে। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলায় ২৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে তৈরি ঘর হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলা গুলো হচ্ছে- বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, ফটিকছড়ি ও কর্ণফুলী উপজেলা। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এবং ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রণালয় থেকে দুই ধাপে ১৩৭৪ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ২০২১ এ প্রথম ধাপের ২৩৮টি গৃহ হস্তান্তর সারা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশাবাদী করে তুলেছে। পর্যায়ক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ যেন বাস্তুহারা নদী সিকস্তি ভূমিহীন ও গৃহহীন সকল পরিবার এ প্রকল্পের আওতায় এলে দেশের গৃহহারা মানুষ থাকবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছে সাধারণ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের দাবি প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প হতে বাদ না পড়ে। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের মৌলিক মানবিক চাহিদার প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। সেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছেন তারা যেন আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং দায়বদ্ধতার সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সহায়তার সুব্যবস্থা করে- এমন প্রত্যাশা দেশের হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীনদের।