মাদুরোকে সমর্থন তুরস্ক মেক্সিকো ও বলিভিয়ার

45

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরো’র প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক, মেক্সিকো ও বলিভিয়া। বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদোকে বুধবার দেশটির অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ‘স্বীকৃতি’র প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় মাদুরো’র প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে এই তিন দেশ। নিকোলাস মাদুরো’র সঙ্গে এক ফোনালাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ‘ভাই মাদুরো, আত্মবিশ্বাস রাখুন, তুরস্ক আপনার সঙ্গে আছে।’
ইংরেজিতে #ডবঅৎবগঅউটজঙ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ইভো মোরালেস। এতে তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ এবং নিকোলাস মাদুরো’র প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। ভেনেজুয়েল ‘সা¤্রাজ্যবাদী আক্রমণ’ মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে ইভো মোরালেস বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার জনগণ আর যুক্তরাষ্ট্রের আঙ্গিনায় পরিণত হবে না। মেক্সিকো’র প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জেসাস রামিরেজ কিউভাস জানিয়েছেন, মাদুরো’র প্রতি তার দেশের স্বীকৃতি অব্যাহত থাকবে। এর আগে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে নিজেকে ভেনেজুয়েলার অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন ৩৫ বছরের জুয়ান গুইদো। জুয়ান গুইদো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের নাম ঘোষণার কয়েক মিনিটের মাথায় তাকে ‘স্বীকৃতি’ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশগুলোকেও একই পথ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের ভেনেজুয়েলা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জুয়ান গুইদো’কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি এই ঘোষণা দেন। নিকোলাস মাদুরো বলেন, সাংবিধানিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সা¤্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন নিকোলাস মাদুরো। তবে দেশটির বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। বিরোধীদের এমন দাবির সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনৈতিক মন্দা। অর্থনৈতিক সংকটে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। আর ব্যাপক এই বিক্ষোভের জেরেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স।