কক্সবাজারে ‘ইয়াবার কারবারের বিরোধের জেরে মাদক ব্যবসায়ীদের’ মধ্যে গোলাগুলির দুই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলার হারাংখালী এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে ‘গোলাগুলিতে’ চারজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। আর কক্সবাজার শহরের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন কবিতা চত্তরের ঝাউবাগান এলাকায় ‘গোলাগুলির’ পর আরও একজনের লাশ উদ্ধারের কথা বলেছেন সদর থানার ওসি এস এম শাহজাহান কবীর। দুই জায়গা থেকেই মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। নিহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে না পরলেও টেকনাফের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রোহিঙ্গাও রয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।ওসি প্রদীপ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার চালানের ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ৪ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাদের উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন’।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, ২ টি দেশীয় বন্দুক ও ৮ টি গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান প্রদীপ।
এছাড়া ঝাউবাগান এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) এস এম শাহজাহান কবীর। তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে ২ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ২৫/২৬ বছর বয়সী একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১০০ টি ইয়াবা, ১টি দেশীয় বন্দুক ও ১টি গুলি উদ্ধারের খবরও জানান শাহজাহান। খবর বিডিনিউজের