মাতারবাড়ি-মদুনাঘাট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে চুক্তি

60

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি থেকে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লক্ষ্যে এ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪০০ কেভির (চার লাখ ভোল্ট) লাইনটি চালু হলে মাতারবাড়ি থেকে মদুনাঘাট হয়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সহজ হবে এবং সিস্টেম লস কমবে। মাতারবাড়ি থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭৯৫ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পিজিসিবির প্রধান কার্যালয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেইসি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে পিজিসিবি। পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং কেইসি’র পক্ষে কান্ট্রি হেড ও মহাব্যবস্থাপক কুলদ্বীপ কুমার সিনহা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী, খোন্দকার মো. আবদুল হাই, প্রকল্প পরিচালক মোরশেদ আলম খান, কেইসির ম্যানেজার আশীষ কেদিয়া এবং দীপক যাদবসহ উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।-খবর বাংলা ট্রিবিউনের
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি
সম্মিলিতভাবে এ কাজে অর্থায়ন করছে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সর্বনিম্ন দর জমা দিয়ে কাজটি পেয়েছে কেইসি। চুক্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ মাসের মধ্যে টার্নকী পদ্ধতিতে কাজটি শেষ করে তা পিজিসিবির কাছে হস্তান্তর করবে কেইসি।
মাসুম-আলবেরুনী বলেন, মাতারাবাড়ি-মদুনাঘাট লাইনটি চালু হলে তা মদুনাঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ লাইনের মাধ্যমে মাতারবাড়ি থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। এতে সিস্টেম লস কমবে এবং কারিগরি জটিলতার আশঙ্কাও অনেকাংশে কমে আসবে। নির্ধারিত সময়ে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায় সেজন্য মাতারবাড়ি-মদুনাঘাট সঞ্চালন লাইনে উচ্চতর প্রযুক্তি এবং কন্ডাক্টর (তার) ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে।