মাছে-ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে

21

বাঙালি সারাবিশ্বের মাঝে মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবে পরিচিত। হাজার বছরের এই পরিচিতি ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যের মাছে-ভাতে বাঙালীর পরিচয় হারাতে বসেছে। বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন বাঙালির এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে। সরকারের একার পক্ষে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের মৎস্য ভান্ডারের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে মৎস্যজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের কমিটির অনুমোদন পত্র গ্রহণকালে একথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ১৯ ফেব্রূয়ারি বিকেল ৩টায় কোর্ট হিলস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনের নিকট সংগঠনের অনুমোদন পত্র হস্তান্তর করেন। এসময় সংগঠনের যুগ্ম আহব্বায়ক সুরেশ দাশের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুমা কামাল আখি, হানিফুল ইসলাম, সঞ্জয় সরকার, মোহাম্মদ গোলাম রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার আহব্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.এম.লেয়াকত হোসেন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স.ম.জিয়াউর রহমান। অনুমোদনপত্র গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, মৎস্যজীবী বিষয়ে এবং মৎস্য ভান্ডার নিয়ে কোন চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব প্রশাসন সহ্য করবে না। বাংলাদেশের চিরায়িত ঐতিহ্য মৎস্য ভান্ডারের অস্তিত্ব রক্ষায় মৎস্যজীবীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম মৎস্যভান্ডারের বিশাল খাত রয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে মৎস্যজীবীদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন নবগঠিত কমিটির কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান। বিজ্ঞপ্তি